Advertisement
E-Paper

অস্ত্রে অরুচি, না পাল্টা চাপ

শর্ত একটাই— নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর তা হলেই পিয়ংইয়ং তাদের যাবতীয় পরমাণু অস্ত্র ছাড়তে রাজি বলে আজ জানাল সোল। তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন এখন সরাসরি টেবিল ভাগ করতে চাইছেন আমেরিকার সঙ্গে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩২

শর্ত একটাই— নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর তা হলেই পিয়ংইয়ং তাদের যাবতীয় পরমাণু অস্ত্র ছাড়তে রাজি বলে আজ জানাল সোল। তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন এখন সরাসরি টেবিল ভাগ করতে চাইছেন আমেরিকার সঙ্গে। এমনকী এ নিয়ে যত দিন আলোচনা চলবে, তত দিন আর একটাও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবেন না বলে কথা দিয়েছেন কিম।

ব্যস, সমস্যা তো তা হলে মিটেই গেল! উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের। অসন্তুষ্ট আমেরিকাও। নাছোড়বান্দা কিমকে গোড়ায় ‘শিক্ষা’ দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে বলেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না-থামালে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কোনও কথাও নয়। কিন্তু এ বার তো কিমই যেচে আলোচনা চাইছেন। অস্ত্র ছাড়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন! আর তাতেই অন্য অঙ্ক দেখছেন কূটনীতিকরা। তাঁদের মতে, এটা পিয়ংইয়ংয়ের চাল। দক্ষিণ কোরিয়াকে পাশে টেনে কিম আদতে ওয়াশিংটনকেই চাপে রাখতে চাইছেন। কারণ, মাস কয়েক আগে এই কিমই কিন্তু ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আমেরিকাকে! কিম নিজে যে হেতু এখনও তাঁর বর্তমান অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেননি, তাই জল্পনা একটা থাকছেই।

কী বলছে আমেরিকা? দুই কোরিয়ার বৈঠক নিয়ে খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্রাম্প টুইট করে বলেন, ‘‘যাক, এত দিনে সত্যিকারের একটা চেষ্টা নজরে এল। হয়তো সবটাই মিথ্যে আশা, তবু কথা তো হল! গোটা বিশ্ব এখন এ দিকেই তাকিয়ে। অপেক্ষা করছে কী হয়। তবে পরিস্থিতি যে দিকেই এগোক, আমরাও তার মুখোমুখি হতে তৈরি।’’

জাতীয় স্বার্থ আর আঞ্চলিক জোটের কথা বলে গত মাস থেকেই সোলকে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। সে বার শীতকালীন অলিম্পিক্সে যোগ দিতে চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে ছিলেন কিম। আর কাল নিজেই সোলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাক্কা ৪ ঘণ্টা কাটালেন ডাইনিং টেবিলে। স্ত্রী আর বোনকে সঙ্গে নিয়ে। রকমারি ফুল আর ওয়াইনে সাজানো টেবিল। নৈশভোজের ফাঁকে-ফাঁকেই চলল আলোচনা। আজ সোল জানাল, যথেষ্ট ‘প্রাণখোলা’ আলোচনা হয়েছে কিমের সঙ্গে। ২০১১-য় প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরে এই প্রথম সোলের কর্তাদের দেখা দিলেন কিম। কথা দিলেন, এপ্রিলের শেষেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে দেখা করবেন। পড়শি দুই রাষ্ট্রনেতার এমন বৈঠক শেষ বার হয়েছিল ২০০৭-এ। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তখন কিমের বাবা।

দুই কোরিয়ার পুনর্মিলন নিয়ে কিমের আশ্বাসে খুশি সোল-ও। পিয়ংইয়ংয়ে নৈশভোজের আসরে ছিলেন সোলের গোয়েন্দা প্রধান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সহ বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তা। আমেরিকার দাবি, তারাই আলোচনায় রাজি করিয়েছেন দুই কোরিয়াকে। আর কী কথা হল বৈঠকে, দিন কয়েকের মধ্যেই তা ওয়াশিংটনে গিয়ে জানিয়ে আসবে সোলের এই প্রতিনিধি দল।

China USA Donald Trump Kim Jong Un
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy