জুন্টা প্রধান মিন অং লাইং। ছবি রয়টার্স।
মায়ানমারের সামরিক সরকারকে বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য করতে বিশাল অঙ্কের আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করল চিন। এ নিয়ে আজ দু’দেশের মধ্যে একটি মউ-ও সই হয়েছে। মায়ানমারে চিনের দূত ওই মউ-এ সই করেছেন। নেপিদ-র চিনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বিষয়টির সত্যতাও স্বীকার করা হয়েছে।
অর্থের অঙ্ক নেহাত কম নয়। মোট ৬০ লক্ষ ডলার। মায়ানমারে মোট ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালতে চলেছে চিন। জুন্টা সরকারের অ্যাকাউন্টে খুব শীঘ্রই পুরো অর্থ চলে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে পশুদের টিকা, কৃষি, বিজ্ঞান, পর্যটন, বিপর্যয় মোকাবিলা ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক লেনদেনের মতো বিষয়।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পিছনে পড়শি চিনের একটা বড় সমর্থন রয়েছে বলে বরাবর অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধীরা। এমনকি বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জুন্টা সরকারের হাতে চিন অস্ত্র তুলে দিচ্ছে বলেও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রতি বারই চিন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। বরং বেজিংয়ের দাবি, সেনা অভ্যুত্থান মায়ানমারের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। শুধুমাত্র আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কূটনৈতিক পথে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে তারা।
আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি প্রথম থেকেই জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এসেছে। চিন অবশ্য শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও দিন। উল্টে তাদের মদতেই গণতন্ত্রকামীদের উপরে জুন্টা এতটা অত্যাচার করতে পারছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তবে জুন্টা সরকারের প্রবল সমালোচনা করলেও আপৎকালীন খাতে মায়ানমারকে আর্থিক অনুদান জারি রেখেছে আমেরিকাও। গত কাল আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ত্রাণ হিসেবে ৫ কোটি ডলার পাঠাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy