Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
China

পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে চিন, উদ্বেগ বাড়ল ভারতের

এই মুহূর্তে ভারতের হাতে যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তার সঙ্গে বিভিন্ন দিক দিয়েই তুলনীয় এই সিএম-৩০২। ভারতের কাছে এই পাকিস্তানি ক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্বেগের। কারণ এখন থেকে পাকিস্তানি নৌসেনাকে মোকাবিলা করার কৌশল নতুন করে ঠিক করতে হবে ভারতকে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতও, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।

বাড়ছে চিন-পাকিস্তান সামরিক বোঝাপড়া। ফাইল চিত্র।

বাড়ছে চিন-পাকিস্তান সামরিক বোঝাপড়া। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:১৪
Share: Save:

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে পাকিস্তানি নৌসেনার হাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সিএম-৩০২ তুলে দিচ্ছে চিন। এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে সমুদ্রে ক্ষমতা বিস্তারের লড়াইয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনেকটাই বাড়বে পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র আসার পর থেকে সমুদ্রে পাকিস্তানের উপর যে আধিপত্য দেখানো সম্ভব হচ্ছিল, সেই ক্ষমতা অনেকটাই কমবে ভারতের, এমনটাই মত যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের।

পাকিস্তানকে যে জাহাজ-বিধ্বংসী অস্ত্র দিচ্ছে চিন, তা অত্যাধুনিক চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াই জে ১২-র সমগোত্রীয়। শব্দের থেকে তিন গুণ বেশি গতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যায় শত্রু জাহাজের দিকে। পাকিস্তানের হাতে যে অস্ত্রভাণ্ডার তুলে দিচ্ছে চিন, তার মধ্যে অন্যতম এই জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। চিনের হুডং-জংঘুয়া জাহাজ-ডকে এখন বানানো হচ্ছে এই যুদ্ধাস্ত্র।

এই মুহূর্তে ভারতের হাতে যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তার সঙ্গে বিভিন্ন দিক দিয়েই তুলনীয় এই সিএম-৩০২। ভারতের কাছে এই পাকিস্তানি ক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্বেগের। কারণ এখন থেকে পাকিস্তানি নৌসেনাকে মোকাবিলা করার কৌশল নতুন করে ঠিক করতে হবে ভারতকে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতও, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।

আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান গোপন আঁতাঁত! রাস্তা বানানোর আড়ালে লুকিয়ে যুদ্ধবিমানের কারখানা?

যদিও এই সিএম-৩০২ কে পুরো মাত্রায় ব্যবহার করার মতো দূরপাল্লার র‌্যাডার এবং সেন্সর নেই পাকিস্তানের হাতে। সে কারণে শত্রু জাহাজকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকলেও তাকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা নেই পাকিস্তানি নৌসেনার। তাই এই মুহূর্তে বিরাট শঙ্কার কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০২১ থেকে এই নয়া অস্ত্র হাতে পাবে পাক নৌসেনা। সে বিষয় মাথায় রেখে ভারতেরও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: ঋণের ফাঁদে ইসলামাবাদ, বন্ধুত্বের মুখোশে পাকিস্তানে লুঠ চালাচ্ছে চিন?

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কত দূরত্বে আঘাত হানছে তা নয়, কী গতিতে আঘাত হানছে, এটাই বিশেষত্ব ওয়াই-জে ১২ ক্ষেপনাস্ত্রের। ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে শব্দের তিন গুণ দ্রুতগতিতে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সামরিক পরিভাষায় যাকে বলা হয় মাক থ্রি। কোনও কোনও বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র মাক ফোর ক্ষমতা সম্পন্ন বলেও জানাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। চিনের বানানো বিভিন্ন যু্দ্ধাস্ত্রের মধ্যে যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র অন্যতম ভয়ঙ্কর বলেই দাবি তাঁদের।

ভারত ইন্দোনেশিয়াকে শব্দের থেকে দ্রুতগামী অত্যাধুনিক ‘ব্রহ্মস’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করছে, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই পাকিস্তানের হাতে এই জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেওয়ার রাস্তায় হাঁটল চিন।

(আমেরিকা থেকে চিন, ব্রিকস থেকে সার্ক- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE