Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
হার্ভার্ড-রিপোর্টে বিদ্ধ চিন
International News

ধারের খাতায় দখলের ছক!

চিনের কুখ্যাত ‘চেকবুক কূটনীতি’ নিয়ে এ বার বিতর্ক উস্কে দিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। মার্কিন বিদেশ সচিবের দফতরে সম্প্রতি তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে— সাম্রাজ্য বিস্তারে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৬টি দেশকে নিশানা করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৩:২১
Share: Save:

চিনের কুখ্যাত ‘চেকবুক কূটনীতি’ নিয়ে এ বার বিতর্ক উস্কে দিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। মার্কিন বিদেশ সচিবের দফতরে সম্প্রতি তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে— সাম্রাজ্য বিস্তারে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৬টি দেশকে নিশানা করা হয়েছে। ধার দিয়ে এদের মাথা কিনতে চাইছে বেজিং।

কী ভাবে? প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ‘মহাজনী কারবার’ ফেঁদেছে চিন। উন্নয়নের কথা বলে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ধার দিচ্ছে তারা। কিন্তু পাকিস্তান, জিবুতি কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো ‘খাতক’ দেশ কি আদৌ ধার মেটাতে পারবে? চিন জানে, সেটা সম্ভব নয়। আর সেই সূত্রেই এই সব দেশের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে ঢুকে পড়তে চাইছে বেজিং। কোনও কোনও দেশে আবার এর বিনিময়ে কৌশলগত ভাবে
তাদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখলের ষড়যন্ত্র চলছে। অভিযোগ, দক্ষিণ চিন সাগরের মতো ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর ধরেও সাম্রাজ্য ছড়াতে চাইছে বেজিং। উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার ডুবতে বসা হামবানতোতা বন্দরের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। চিনের থেকে বিপুল ঋণ নিয়ে সেটিকে মেরামত করে আবার চিনা সংস্থাকেই লিজ দেওয়া হয়েছে!

চিনের এই আগ্রাসন-অভিসন্ধি আঁচ করে গত মাসেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। অস্ট্রেলিয়ার উপকূল থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরীয় দেশ ভ্যানুয়াটু। সেখানে কেন চিনের সেনা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ম্যালকম। হার্ভার্ড গবেষকদের রিপোর্ট বলছে, গত এক দশকে ওই দেশটি চিনের থেকে ২৭ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। সেই সূত্রে সেনা ঢোকানোর কথা অবশ্য অস্বীকার করেছে বেজিং।

এ দিকে, আমেরিকার মাথাব্যথা বাড়িয়েছে জিবুটির পরিস্থিতিও। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশে অনেক আগে থেকেই চিন ও আমেরিকার বাহিনী রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, এখানেও ধারের খাতা খুলে থাবা বসাচ্ছে বেজিং। সরাসরি তবু বিরোধিতার পথে হাঁটছে না মার্কিন বিদেশ দফতর। উন্নয়নশীল দেশে পরিকাঠামো খাতে চিনের ধার দেওয়ার প্রশংসা করলেও, ‘ঋণী’ দেশগুলিকে সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলছে ওয়াশিংটন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE