রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল চিত্র।
বিশৃঙ্খল পৃথিবীতে ‘সুস্থিতি’ আনতে এবং ‘ইতিবাচক সম্ভাবনা’ ছড়িয়ে দিতে একসঙ্গে কাজ করবে চিন এবং রাশিয়া। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে আয়োজিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়ে এই কথাই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বৈঠকে চিনফিং পুতিনকে বলেন, “সম্প্রতি আমরা কোভিড অতিমারিকে কাটিয়ে উঠেছি। তার মধ্যেও আমাদের বহুবার ফোনে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে সর্বদাই গুরুত্ব দিয়ে এসেছি।” অপর দিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য চিনের কাছে ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন পুতিন।
চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরেই আমেরিকার সমালোচনায় সরব হয়েছেন পুতিন। তাঁর কথায়, “আমেরিকা একমেরু একটি বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করতে চাইছে।” তার জন্য তারা যে ভয়ঙ্কর রূপ দেখাচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও দাবি করেছেন পুতিন। এই প্রসঙ্গেই চিনের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার দাবির পক্ষেও সুর চড়িয়েছে রাশিয়া। তাইওয়ানে আমেরিকার ‘নাক গলানো’র সমালোচনা করে পুতিন বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
দু’বছর কোভিড অতিমারিতে বন্ধ থাকার পর এই বছরই ফের বসতে চলেছে এই সম্মেলনের আসর। চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানকে নিয়ে গঠিত এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সদস্য দেশগুলি পারস্পরিক নিরাপত্তা, শক্তিসাম্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারই উজবেকিস্তানের বিমান ধরেছেন নরেন্দ্র মোদী। পুতিনের সঙ্গে তাঁরও একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মিলিত হবেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy