Advertisement
E-Paper

আমেরিকা যদি যুদ্ধই চায়, তবে আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব! ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক-সংঘাত নিয়ে কড়া বিবৃতি দিল চিনা দূতাবাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কোনও দেশ আমেরিকার উপর যত শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও তত বেশি শুল্ক আরোপ করবে। আমেরিকায় চিনা দূতাবাস থেকেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেজিং হাল ছাড়বে না।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ২১:০৯
(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকা যুদ্ধ করতে চাইলে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে বিতর্কের আবহে অবস্থান বুঝিয়ে দিল চিন। সমাজমাধ্যমে আমেরিকায় চিনা দূতাবাস লিখেছে, “আমেরিকা যদি যুদ্ধই চায়, তা শুল্কযুদ্ধ হোক, বা বাণিজ্য যুদ্ধ কিংবা অন্য কোনও যুদ্ধ হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে তৈরি আছি।”

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণে ফের উঠে এসেছে শুল্কনীতির প্রসঙ্গ। চিন-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, ওই দেশগুলি আমেরিকার উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও তত শুল্ক চাপাবে। বস্তুত, ট্রাম্পের প্রশাসন চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর পরে ‘পাল্টা’ পদক্ষেপ করেছে শি জ়িনপিংয়ের প্রশাসন। আমেরিকার বেশ কিছু খাদ্যপণ্য এবং বস্ত্রের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করেছে বেজিং। এই আবহে বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন ট্রাম্প ফের একবার চিন, ব্রাজ়িল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নামোল্লেখ করে অন্য দেশগুলিকেও শুল্কনীতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন। ট্রাম্পের হুমকির পরেই আমেরিকায় চিনা দূতাবাস থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখা হল।

চিনা পণ্যের উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর নেপথ্যে অন্যতম কারণ মাদকদ্রব্য ফেন্টানাইল। ওয়াশিংটনের বক্তব্য, সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল পাচার বন্ধ করতেই শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে।

যদিও চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, “চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর জন্য ফেন্টানাইল প্রসঙ্গকে স্রেফ একটি অযৌক্তিক অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। আমেরিকায় ফেন্টানাইল সংক্রান্ত সমস্যার দায় অন্য কোনও দেশের উপর চাপানো যায় না। এর জন্য দায়ী আমেরিকাই।” বেজিং আরও জানিয়েছে, মানবিক দিক থেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য চিন আমেরিকাকে সাহায্য করতে চাইছে। কিন্তু চিনের সেই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে আমেরিকা চিনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানোকেও এক প্রকার ‘হুমকি’ হিসাবেই দেখছে বেজিং।

Donald Trump USA China XI XINPING
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy