জামিন পেলেন না চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারও জামিন পেলেন না বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তবে সেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছে বাংলাদেশের হাই কোর্ট। মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের কাছে সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজার বেঞ্চ সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছে।
চিন্ময়কৃষ্ণকে গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। সেখানে আইনজীবী আলিফ খুন হন। হত্যার অভিযোগ ওঠে হিন্দু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ১১ জনকে সরাসরি খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে ভাঙচুর, অশান্তির মামলায় গ্রেফতার আরও ৪০ জন। গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে শুনানি থাকলেও জামাত-সহ কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী এজলাসে হাজির হতে পারেননি বলে অভিযোগ। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি ছিল চট্টগ্রামের আদালতে। সে দিনও জামিনের আবেদন খারিজ হয়।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। এই আবহে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক ধর্মীয় সংগঠন মিলে গঠন করে ‘সনাতনী জাগরণ মঞ্চ’। ওই মিলিত মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। তাঁর ডাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ আয়োজিত হয়। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই বাংলাদেশের দিকে দিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুধু ও পার বাংলায় নয়, চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়ে এ পার বাংলাতেও। পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও এখনও জামিন পেলেন না চিন্ময়কৃষ্ণ। আপাতত তাঁকে থাকতে হবে জেলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy