বুস্টার টিকায় আপাতত ভরসা করছে না হু।
করোনা রুখতে ‘বুস্টার শট’-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামিনাথন।
করোনার দু’টি টিকা নেওয়ার পর আরও একটি টিকা নিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এই তৃতীয় টিকাটিকে বলা হচ্ছে ‘বুস্টার শট’। স্বামিনাথনের দাবি, ‘‘এই বুস্টার শট-এর উপর এখনই ভরসা করা ঠিক নয়। কারণ করোনা মোকাবিলায় এটি অদৌ কার্যকরী কি না তা এখন বলা সম্ভবই নয়।’’ বরং বেশ কিছু দেশের রিপোর্ট দেখে স্বামিনাথনের অভিমত, কেউ যদি দু’টি আলাদা সংস্থার টিকা নেন, তাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে অনেক বেশি।
নাগরিকদের ‘বুস্টার শট’ দেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ব্রিটেন। করোনার ডেল্টা প্রজাতি থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছে ব্রিটেনের সরকার। সে প্রসঙ্গেই স্বামিনাথন বলেন, যেখানে বিশ্বের একাধিক মানুষ এখনও দ্বিতীয় টিকাই নিয়ে উঠতে পারেননি, সেখানে বুস্টার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সময় এখনও আসেনি। কারণ পুরোটাই নির্ভর করছে করোনার পরবর্তী প্রজাতি কতটা ভয়ঙ্কর হবে, তার উপর। যদি এমন কোনও প্রজাতি তৈরি হয়, যাকে এ যাবৎ তৈরি হওয়া টিকার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই, তবে ‘বুস্টার শট’-ও সে ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী হবে বলে মনে হয় না।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ নাগরিকদের দু’রকম টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। মালয়েশিয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ফাইজারের টিকা মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বামিনাথন বলেছেন, ‘‘ব্যাপারটা কার্যকরী হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি দৃঢ় হচ্ছে।’’ যদিও হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সতর্ক করে জানিয়েছেন, দু’টি আলাদা সংস্থার টিকা নিলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হচ্ছে বেশি। একই সংস্থার দু’টি টিকা নেওয়ার থেকে এ ক্ষেত্রে জ্বর এবং অন্যান্য প্রতিক্রিয়া হচ্ছে অনেক বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy