মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দাবি করলেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থান গণতন্ত্রের দাবিতে লড়াইয়ে গোটা বিশ্বকে প্রেরণা জোগাবে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির সংস্কারে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য প্রার্থনা করেন ইউনূস। শনিবার তিনি দেশে ফিরেছেন। কিন্তু তাঁর এই সফর নিয়ে বিতর্ক থামছে না।
‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’-এর সভায় দু’জন তরুণ ও এক তরুণীকে মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন ইউনূস। নিজের সহায়ক মাহফুজ় আলমকে তিনি আন্দোলনের ‘নেপথ্য মস্তিষ্ক’ বলে ক্লিন্টনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। অভিযোগ, এই মাহফুজ় আলম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের নেতা। কিন্তু বাকি দু’জন কারা? প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, এই দু’জন ইউনূসের সদ্যনিযুক্ত সহকারী প্রেস সচিব নাইম আলী এবং সুচিস্মিতা তিথি। সমস্ত সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এই দু’জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। ইউনূস এই দু’জনকে সরকার উচ্ছেদের আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হিসাবে পরিচয় দিয়ে জানান, আন্দোলনে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
কিন্তু একটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট খোঁজ নিয়ে জানিয়েছে, এই দুই সদ্যপ্রাক্তন সাংবাদিক নাইম আলী এবং সুচিস্মিতা তিথি ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে নিউ ইয়র্কেই যাননি। সে দিন মঞ্চে হাজির তরুণী বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি। আর ওই তরুণ কী ভাবে মঞ্চে পৌঁছে গেলেন, কেউই বলতে পারেননি। ওই তরুণ আমেরিকা প্রবাসী এক ব্যবসায়ী। নাম জাহিন রাজিন। সমন্বয়ক তো দূরের কথা, ওই সময়ে তিনি সে দেশেই ছিলেন না। জাহিন জানান, কেউ এক জন তাঁকে মঞ্চে যেতে বলায় তিনি উঠে যান।
মাহফুজ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে
বলেন, ‘লোকটা অনুপ্রবেশকারী এবং অসাধু। তিনি সিজিআই ইভেন্টে যোগদান করেছেন নিজে থেকে। আমাদের সবার আগে দৌড়ে মঞ্চে উঠে পড়েন। বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে আবারও আমরা অসহায় হলাম।’ বিষয়টি আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত চক্রান্ত বলেও দাবি করেন মাহফুজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy