করোনায় আক্রান্ত চার বছরের মালয়েশীয় বাঘিনি নাদিয়া।—ছবি রয়টার্স।
দিন কয়েক ধরে শুকনো কাশি হয়েছিল তার। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয় তার। সেই রিপোর্টই পজ়িটিভ এল রবিবার। করোনায় আক্রান্ত এ বার চার বছরের নাদিয়াও। তবে নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানার বাসিন্দা, এই মালয়েশীয় বাঘিনির শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর আগে হংকংয়ে করোনা আক্রান্ত এক মহিলার পোষ্য কুকুরের শরীরে সংক্রমণ দেখা গেলেও কোনও বাঘের দেহে এই প্রথম এই রোগের হদিস মিলল।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নাদিয়ার পাশাপাশি, একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে ব্রঙ্কসের আরও পাঁচটি পশুর শরীরে। এদের মধ্যে রয়েছে বাঘ ও সিংহ। তবে নাদিয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত আর কোনও পশুর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ওই পশুগুলিরও কাশি হয়েছে, রয়েছে শ্বাসকষ্ট।
চিড়িয়াখানার মুখ্য চিকিৎসক পল ক্যাল জানিয়েছেন, আপাতত খিদে কমে যাওয়া ছাড়া ওই সব পশুর আর কোনও শারীরিক অসুবিধে নেই। নাদিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, যে হেতু এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কোনও পশুর শরীরে এই সংক্রমণ মেলেনি, তাই নাদিয়ার আরও কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে তাঁরা ২৪ ঘণ্টা ওই বাঘিনিকে নজরে রেখেছেন বলে জানানো হয়েছে।
মার্চের ১৬ তারিখ থেকে আমজনতার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানার দরজা। নাদিয়া কী ভাবে সংক্রমিত হল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত চিড়িয়াখানারই কোনও কর্মীর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, যাঁর শরীরে সে ভাবে করোনা উপসর্গ নেই। ওই কর্মীর খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy