নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সুপারমার্কেটের বাইরে ভিড় সাধারণ মানুষের। ছবি: এপি।
মৃত্যুসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গিয়েছিল আগেই। এ বার একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যাতেও বিশ্বের সমস্ত দেশকে ছাপিয়ে গেল ইটালি। নোভেল করোনাভাইরাসের জেরে শনিবার সেখানে ৭৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এশিয়ায় অতিমারির কেন্দ্রস্থল চিনের উহান প্রদেশেও এক দিনে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর নজির নেই।
করোনার প্রকোপ রুখতে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশ লকডাউন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষের বাড়ির বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার মধ্যেই শনিবার এত সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাতে ইটালির মোট মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৪ হাজার ৮২৫-এ।
সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ইটালিতে ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ হাজার ৭২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু যে হারে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। এখনও পর্যন্ত উত্তরের লম্বার্ডির পরিস্থিতিই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে সেনা নামানো হয়েছে, যাতে হাঁটাচলা করতেও বাড়ির বাইরে কেউ পা রাখতে না পারেন।
আরও পড়ুন: দেশে মৃত্যু বেড়ে ৬, আক্রান্ত বেড়ে ৩৪১, লকডাউন বহু রাজ্যে: করোনা আপডেট এক নজরে
আরও পড়ুন: লকডাউনের পথে কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরশহর!
শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশ কখনও এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের সমস্ত কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান, ডাকঘর এবং ব্যাঙ্কের মতো জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন জুসেপ্পে। দেশের অর্থনীতির উপর এর প্রভাব পড়বে জেনেও সাধারণ মানুষের স্বার্থে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy