করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে চিনের পরীক্ষাগার থেকে এই ভাইরাস ছড়ানোর একটি তত্ত্ব উঠে এসেছিল। এই তত্ত্বকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করতে পারে, এমন কোনও তথ্য যত দিন না হাতে আসছে, তত দিন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিত, বললেন গবেষকদের একটি দল।
বিশ্বের ১৮ জন বিজ্ঞানী রয়েছেন ওই দলে। রয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট রবীন্দ্র গুপ্ত এবং জেসি ব্লুম, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড রেলহ্যাম। তাঁরা একটি চিঠি লিখেছেন বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-কে। সেই চিঠিতে তাঁরা বলেন, ‘‘অতিমারির উৎপত্তি জানতে আরও গবেষণা, তদন্ত জরুরি। ‘ভুলবশতও’ উহানের পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবিকে একেবারে বাতিল করে দিলে চলবে না।’’ পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ‘এশীয়-বিদ্বেষ দেখা গিয়েছে কিছু দেশে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, শুরুতে এই ভাইরাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছিলেন চিনেরই চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, এমনকি নাগরিকরাও।
চিনের পরীক্ষাগার থেকে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবিকে আগেই খারিজ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু-এর যে দলটি গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে উহানে গিয়ে তদন্ত চালিয়েছে, সেই দলে ছিলেন একজন চিনা বিজ্ঞানীও। তদন্ত শেষে ওই রিপোর্ট পেশ করে জানিয়ে দেয়, বাদুড়ের শরীর থেকেই প্রাণীদের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে ওই ভাইরাস। পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকে কার্যত উড়িয়েই দেওয়া হয়েছিল হু-এর রিপোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy