বুধবার সল্টলেক সিটিতে কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি।
খুব শীঘ্র করোনার প্রতিষেধক এসে পৌঁছবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু অতিমারি নিয়ে যিনি লাগাতার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আসছেন, তাঁর দাবি কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? নির্বাচনী বিতর্ক চলাকালীন এ বার এমন প্রশ্নই তুললেন ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। তাঁর জানান, ট্রাম্পের কথায় বিশ্বাস নেই তাঁর। চিকিৎসকদের আশ্বাস পেলে তবেই প্রতিষেধক নেবেন।
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিতর্ক চরম বাদানুবাদে পরিণত হয়েছিল। এমনকি পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করতে দেখা যায় তাঁদের। বুধবার সল্টলেক সিটিতে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্সের সঙ্গে সরকারি নীতি নিয়ে জোর তর্ক হয় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের। কমলা জানিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ ট্রাম্প সরকার। মার্কিন ইতিহাসে এমন ব্যর্থতার নজির আর নেই।
কোভিড সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট সরিয়ে নেয় ফেসবুক ও টুইটার। দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেন কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। সেই প্রসঙ্গে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের আশ্বাস পেলে তবেই প্রতিষেধক নেব আমি। প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য লাইনের সামনেই থাকব। কিন্তু শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় প্রতিষেধক নিতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’
আরও পড়ুন: জিন কাটার ‘কাঁচি’ আবিষ্কার করে রসায়নে নোবেল দুই নারীর
প্রত্যুত্তরে মাইক পেন্স বলেন, ‘‘রেকর্ড সময়ে প্রতিষেধক এনে ফেলব আমরা। আগে কখনও কেউ যা শোনেননি, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক এনে ফেলব। পাঁচটি সংস্থার তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধক এই মুহূর্তে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। লক্ষ লক্ষ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করছি আমরা। এ ভাবে মানুষের আত্মবিশ্বাস ভাঙবেন না। এ নিয়ে রাজনীতি করবেন না দয়া করে।’’
আরও পড়ুন: এক দিনের প্রধানমন্ত্রী হল ১৬ বছরের কিশোরী
তবে মাইক পেন্সের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, আগামী বছরের শেষ দিকে যদিও বা আসতে পারে, কিন্তু তার আগে প্রতিষেধক এসে পৌঁছনোর কোনও সম্ভাবনা নেই। মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড জানান, ২০২১-এর মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষেধক এলেও আসতে পারে। তার আগে কোনও সম্ভাবনা নেই। নোভেল করোনার প্রকোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy