ভয়াবহ থেকে অতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ২০০২-’০৩ সালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম-এ (সার্স) আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ওই সময় সার্স-এর হানায় বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। সেখানে তিন মাসেরও কম ব্যবধানে শুধুমাত্র চিনেই করোনাভাইরাসের হানায় মৃত্যুর সংখ্যাটা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ৩৭ হাজার ২০০। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৬ জন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত কয়েক দিনে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। চিনের বাইরেও আক্রান্তের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৩০০। তার মধ্যে এই প্রথম চিনে দুই বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে করোনার হানায়। এক জন মার্কিন নাগরিক। অন্য জন জাপানের। অন্য দিকে, ফিলিপিন্সে মৃত্যু হয়েছে এক চিনা নাগরিকের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত চার দিনে হুবেই প্রদেশে পরিস্থিতি একটু আয়ত্তে এসেছে। তবে পাশাপাশি হু এই সতর্কবার্তাও দিয়েছে, পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আশঙ্কার মাত্রাটা কোনও ভাবেই কমেনি। মৃত্যু বা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।