চিনের তিনজিয়ানে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২। এখনও নিখোঁজ ৯৫ জন। গত ১৩ অগস্ট রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রাসায়নিক ভর্তি একটি গুদাম ঘরে পর পর দু’টি জোরাল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল মাঝারি মাপের ভূমিকম্পের সমান। সে দিনের এই ঘটনায় আহত হন সাতশোরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই শতাধিক। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ৮৫ জন দমকলকর্মী এখনও নিখোঁজ। এত জন দমকলকর্মী একসঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার আগে কখনও ঘটেনি বলে দমকল সূত্রে খবর।
এই ঘটনায় এক জন ভারতীয় আহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মোট ৭২২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে চিকিত্সকরা জনিয়েছেন। দমকল বিভাগের প্রধান ঝৌ তিয়ান জানান, ৪৭ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবারেও বেশ কিছু ছোট ছোট বিস্ফোরণ হয় ওই গুদামঘরে। ৭০ জনের একটি অ্যান্টি-কেমিক্যাল দল বিস্ফোরণ স্থলে তল্লাশিতে নামে। বিসেফোরণস্থলের আশপাশের বাড়িগুলিতে আর কেউ বেঁচে আছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে নামানো হয়েছে ১১০০ সেনা জওয়ানকে।
সে দিনের বিস্ফোরণের পর তিয়ানজিয়ানের আকাশে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস মিশতে শুরু করেছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে রাসায়নিকটি সোডিয়াম সায়ানাইড।
এ দিকে, ঘর-বাড়ি এবং প্রিয় জনদের হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে তিয়ানজিয়ান। রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।