E-Paper

বন্দর-বিস্ফোরণে ইরানে মৃত বেড়ে ৪০

বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি তৈরিতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, মার্চ মাসে চিন থেকে দু’টি জাহাজে করে তেমনই কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিক এসেছিল ওই বন্দরে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৩৯
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত রাজাই বন্দর আকাশপথে পরিদর্শন করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান। রবিবার।

বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত রাজাই বন্দর আকাশপথে পরিদর্শন করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান। রবিবার। ছবি: রয়টার্স।

গত কাল ইরানের শহিদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হয়েছে, জানালেন প্রাদেশিক গভর্নর মহম্মদ আশৌরি। জখম সহস্রাধিক। মাত্র ১০টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। তার মধ্যে দুই মহিলা রয়েছেন। শনিবার রাত থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছিল। আজ আকাশপথে হেলিকপ্টার ও বিমান থেকেও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। রবিবার রাতের মধ্যে আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আনা যাবে বলে আশা করছে প্রশাসন।

বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি তৈরিতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, মার্চ মাসে চিন থেকে দু’টি জাহাজে করে তেমনই কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিক এসেছিল ওই বন্দরে। সেই রাসায়নিক সংরক্ষণে সতর্কতার অভাব ছিল। সেখান থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারে জ্বালানি তৈরির জন্য ওই রাসায়নিক আমদানি করা হচ্ছে। সেই ক্ষেপণাস্ত্র গাজ়ার যুদ্ধে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়েছে।

বন্দরে মজুত রাখা বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি প্রশাসনেরও। এ দিকে, শনিবারেই ওমানে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনায় বসেছিল ইরান। তার মধ্যে এই বিপুল বিস্ফোরক বন্দরে জমা হওয়ার খবরে ইরান সরকার খানিক হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তারা আগেই সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে আগেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলেছে। অতর্কিতে হামলা হয়েছে ইরানের উপরে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আগেই সতর্কতার বার্তা দিয়েছিল।’’

আজ আগুন নেভানোর সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের একাংশে কাজকর্ম ফের চালু হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে অ্যামোনিয়া, সালফার-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে বেড়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Iran Blast

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy