সামরিক ক্ষেত্রে ভারত ছাড়া আর কোনও দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর কথা তাঁরা ভাবছেনই না। কয়েক দিন আগেই জানিয়েছিলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী। এ বার দ্বীপরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, ভারত মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত জলভাগের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখার জন্য যে আন্তর্জাতিক টানাপড়েন চলছে, সেই ভূকৌশলগত লড়াইয়েও মলদ্বীপ ভারতের শিবিরেই থাকবে।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি জানিয়েছিলেন যে, ভারতকেই তিনি ঘনিষ্ঠতম সহযোগী মনে করছেন। প্রেসিডেন্ট সোলির শপথ গ্রহণে হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে ভারত সফর সেরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সোলি নিজে। এ বার ভারত সফর করলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মারিয়া দিদি এবং সে দেশের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী মেজর জেনারেল আবদুল্লা শামাল। ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার নিরাপত্তা বৈঠক করতেই প্রেসিডেন্ট সোলির দুই প্রতিনিধির এই ভারত সফর।
নয়াদিল্লিতে পা রেখেই দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সামরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর প্রয়োজন মলদ্বীপের নেই। নাম না করলেও, আসলে চিনের সঙ্গে কোনও সামরিক সমঝোতায় না যাওয়ার কথাই যে মারিয়া দিদি বলেছিলেন, তা বুঝতে কূটনীতিকদের কোনও সমস্যা হয়নি। রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেজর জেনারেল আবদুল্লা শামাল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইন্দো-প্যাসিফিক জোটকে সমর্থন করতেও তাঁরা তৈরি।