সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কাতারে আলোচনার মধ্যেই নতুন করে গাজ়ায় হামলা শুরু করল ইজ়রায়েলি ফৌজ। সোমবার ভোর থেকে মধ্য গাজ়ার শহর দেইর আল-বালাহতে বিমানহানার পাশাপাশি শুরু হয়েছে স্থলপথে আগ্রাসন। ইজ়রায়েলি সেনার গ্রাউন্ড অপারেশনের জেরে নতুন করে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করতে পারে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আমেরিকার মধ্যস্থতাতেই সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের আলোচনাও শুরু হয়েছিল সে সময়। কিন্তু গাজ়ার সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করার জন্য আরও ১০ জন ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও নেতানিয়াহু সরকার তা মানতে চায়নি।
আরও পড়ুন:
এই আবহে সোমবার ভোর থেকে দেইর আল-বালাহ এবং আশপাশের এলাকায় প্রথমে হামলা চালায় তেল আভিভের বিমানবহর। এর পরে ইজ়রায়েলি ট্যাঙ্ক এবং ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকলের সারি কিসুফিম চেকপয়েন্ট দিয়ে মধ্য গাজ়ার ওই শহরে ঢুকে পড়ে। এ সময় হামাসের প্রতিরোধ ঠেকাতে ইজ়রায়েলি বাহিনী ভারী গোলাবর্ষণ চালিয়ে গ্রাউন্ড অপারেশনে সহায়তা করে। হামলার জেরে দেইর আল-বালাহের পাশাপাশি আবু আল-আজিন এবং হিকর আল-জামি এলাকার বহু অসামরিক প্যালেস্টাইনি বাড়ি ছেড়ে খান ইউনুসের কাছে উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসির দিকে চলে গিয়েছেন। দক্ষিণ গাজ়ার ওই এলাকার শরণার্থী শিবিরগুলির এখন কয়েক লক্ষ প্যালেস্টাইনির আশ্রয়কেন্দ্র। দেইর আল-বালাহকে মধ্য গাজার অন্যান্য অংশ থেকে আলাদা করে ফেলার উদ্দেশ্যেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী এ নতুন হামলা শুরু করেছে বলে প্যালেস্টাইনিদের অভিযোগ।