গোটা বিশ্বে প্রায় একঘরে ইজ়রায়েল। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, তিনি গাজ়ায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। ব্যাখ্যা দিলেন, তাঁর দেশকে ‘কাজটা শেষ করতেই হবে’। পশ্চিমের রাষ্ট্রনেতাদের খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘আপনারা হয়তো চাপের মুখে পিছিয়ে আসছেন, ইজ়রায়েল পিছোবে না।’’ এর পরে প্রতিবাদ-স্বরূপ রাষ্ট্রপুঞ্জে বহু দেশের প্রতিনিধিই সভা ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান।
বহু দেশ প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। সে প্রসঙ্গে টেনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘আপনাদের লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত সর্বত্র ইহুদি ও যে কোনও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, সেটাকে উৎসাহ দেবে।’’ কিছু দেশ নেতানিয়াহুর এ সব কথা বসে শুনেছে। বেশির ভাগ দেশের প্রতিনিধিরাই বেরিয়ে গিয়েছেন। আমেরিকা, ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সকলেই প্রায় অধঃস্তন আধিকারিক। নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘ইহুদি-বিদ্বেষ কোনও দিন যাবে না।’’ তিনি একটি মানচিত্র দেখান। তাতে বড় বড় করে লেখা ‘দ্য কার্স’, অর্থাৎ অভিশাপ। এ দিন একটি বিশেষ পিন পরেছিলেন নেতানিয়াহু। তাতে দেওয়া কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই দেখা যাচ্ছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা সংক্রান্ত তথ্য।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গাজ়ায় বড় বড় লাউডস্পিকার বসিয়ে নেতানিয়াহুর বক্তৃতা শোনানো হয়েছে। বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনেও পাঠানো হয়েছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘‘গাজ়ার বাসিন্দাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী আবেদন, যুদ্ধ এখনই শেষ হয়ে যাবে, যদি বন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যদি হামাস অস্ত্রত্যাগ করে, যদি গাজ়া স্ট্রিপকে জঙ্গিমুক্ত করা হয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)