Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকায় শেষ শ্রদ্ধা ভাষা মতিনকে

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আজ শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা আব্দুল মতিনকে। ৮৮ বছর বয়সে কাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রয়াত হন ভাষা মতিন নামে পরিচিত জনপ্রিয় এই কমিউনিস্ট নেতা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের অসুখে আক্রান্ত হয়ে দেড় মাস তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন

ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৮
Share: Save:

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আজ শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা আব্দুল মতিনকে। ৮৮ বছর বয়সে কাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রয়াত হন ভাষা মতিন নামে পরিচিত জনপ্রিয় এই কমিউনিস্ট নেতা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের অসুখে আক্রান্ত হয়ে দেড় মাস তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজীবন অতি সাধারণ জীবন যাপন করা এই ভাষাসৈনিক চিকিৎসা গবেষণার জন্য নিজের দেহটিও দান করে গিয়েছেন। দান করেছেন তাঁর চোখও।

সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালিতে এক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। ছাত্রজীবন কাটে ঢাকায়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ যে আন্দোলন শুরু করে, ক্রমে তা পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুল মতিন ছিলেন এই সংগঠনের আহ্বায়ক। পরে জেলে গিয়ে কমিউনিস্ট মতাদর্শে আকৃষ্ট হন তিনি। বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বের পরে শেষ জীবনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন ভাষা মতিন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর লেখা কয়েকটি বই প্রামাণ্য নথি হিসাবে গণ্য হয়। নিজের বর্ণময় জীবনের কথা তিনি লিখেছেন ‘জীবন পথের বাঁকে বাঁকে’ গ্রন্থে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও।

এ দিন দুপুরে তাঁর দেহ শহিদ মিনারে পৌঁছলে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় পতাকায় ঢাকা শবাধারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁকে। সরকারের তরফে সিনিয়র মন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষেও। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর তরফেও ফুলের স্তবক দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE