ফাইল ছবি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে আসার কথা। তার আগে দু’দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক চাইছে ঢাকা। সেই মর্মে মোদী সরকারকে অনুরোধপত্রও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
তিন বছর পর ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। তার আগে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বৈঠক একের পর এক চলছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুই শীর্ষ নেতার যৌথ ঘোষণাপত্র তৈরির আগে। তবে এখনও পর্যন্ত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে সাউথ ব্লকের দিক থেকে সাড়াশব্দ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে।
ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, জলের বিষয়টি সে দেশের আবেগের সঙ্গে যুক্ত। সংযোগের ক্ষেত্রে যেমন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিতে লাভবান হয় নয়াদিল্লি, তেমনই জলের যে কোনও চুক্তিতে লাভবান হওয়ার কথা বাংলাদেশের। বন্যা, জলের ঢল, জলবণ্টন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের যে উদ্বেগ রয়েছে, তা কমিশনের বৈঠকে তুলে ধরতে পারলে তাদের ঘরোয়া রাজনীতির জন্য ভাল বার্তা যাবে বলে মনে করে ঢাকা। এটাও মনে রাখা হচ্ছে, হাসিনার ভারত সফরের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন। তারপরই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে জাতীয় নির্বাচনের আবহাওয়ায় ঢুকে যাবে। বহু দিন নদী কমিশনের বৈঠকও হয়নি। এ দিকে ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে। তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে চাপানউতর। এ ছাড়া খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু, মুহুরির মতো নদীগুলির জল বণ্টন নিয়েও আলোচনা বকেয়া রয়েছে।
সূত্রের খবর, জুনের শেষে দু’দেশের মধ্যে ‘লাইন অব ক্রেডিট’-এর পর্যালোচনা মূলক বৈঠক হয়েছে। ভারত তিন দফায় কম সুদে ৭৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার ঋণদানের কথা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এই টাকা কাজে লাগানো হচ্ছে। কত অর্থ এখনও দেওয়া হয়েছে, এবং বাংলাদেশ তার কতটা কাজে লাগিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে ওই বৈঠকে। রেল, বিদ্যুৎ, সীমান্তরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েও দ্বিপাক্ষিক স্তরে বৈঠক হয়েছে।
সম্প্রতি হাসিনা নয়াদিল্লিতে আম পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে চিঠি লিখে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে হাসিনাকে দিল্লিতে সেপ্টেম্বরে আমন্ত্রণ জানান মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy