স্বাধীন ও সার্বভৌম কুর্দিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ইতি টেনে দেওয়া হয়েছিল দু’মাস আগেই। এ বার তুরস্ক এবং ইরাকের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে অস্ত্রসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করল কুর্দ সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর ইরাকের পার্বত্য এলাকায় একশোর কাছাকাছি পিকেকে বিদ্রোহী অস্ত্রসমর্পণ করেছেন।
গণতন্ত্রপন্থী কুর্কদের রাজনৈতিক সংগঠন ডিইএম পার্টির নেতৃত্বও অস্ত্রসমর্পণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শুক্রবার। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পিকেকে-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা, তুরস্কের জেলে বন্দি আবদুল্লা ওসালান সংগঠন ভেঙে দিয়ে সংঘর্ষবিরতির বার্তা দিয়েছিলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, চার দশকের সশস্ত্র লড়াইয়ের পথ ছাড়বেন কুর্দ যোদ্ধারা। এর পরে মে মাসে পিকেকে নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিক ভাবে অস্ত্রসমর্পণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
১৯৯৯ সালে আবদুল্লাকে গ্রেফতার করেছিল তুরস্কের সেনা। তার পর আর থেকে তিনি জেলবন্দি। কিন্তু গত ২৬ বছর ধরে বন্দি থাকা সত্ত্বেও কুর্দ জনজাতির মধ্যে তাঁর প্রভাব কমেনি। উল্টে আবদুল্লার দেখানো স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে বয়ে নিয়ে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর সহযোদ্ধা ও অনুগামীরা। তুরস্কের সেনার হামলায় গত চার দশকে প্রায় ৪০ হাজার কুর্দ নিহত হয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হয়েও কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে পারেননি কুর্দেরা। পিকেকের নিরস্ত্রীকরণ এবং বিলুপ্তি কুর্দিস্তান আরও একটি সম্ভাবনায় ইতি ঘটাল।