Advertisement
E-Paper

ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ, ইরান ও ইজ়রায়েলের যুদ্ধ এবং বাণিজ্য! ট্রাম্প-মুনিরের মধ্যে কী কথা হল, বিবৃতি জারি পাক সেনার

বুধবার আমেরিকার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে মুনিরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার সাক্ষাৎপর্ব সেরেছেন ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, তার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের দাবি করেছিলেন, তিনিই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৮:৫৮

(বাঁ দিক থেকে) আসিম মুনির এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণেই তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে দু’জনের মধ্যে বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, ভারত-পাক সংঘর্ষ এবং ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ-সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে জানাল পাকিস্তান সেনা।

বুধবার আমেরিকার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে মুনিরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার সাক্ষাৎপর্ব সেরেছেন ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, তার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফের দাবি করেছিলেন, তিনিই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছেন। ট্রাম্প-মুনিরের বৈঠকেও সে প্রসঙ্গ উঠেছে। পাক সেনা জানিয়েছে, ট্রাম্পের জন্যই যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে, সে কথা বৈঠকে স্বীকার করেছেন মুনির। এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গোটা পাকিস্তানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। ট্রাম্পও আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতাবস্থার লক্ষ্যে পাকিস্তানের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছে পাক সেনা।

যদিও বুধবারই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছিলেন, আমেরিকার মধ্যস্থতা ছাড়াই ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছিল বলে ট্রাম্পকে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাচক্রে, জি-৭ শীর্ষ বৈঠক থেকে ফেরার পথে মোদী যদি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমেরিকায় যেতেন, সে ক্ষেত্রে প্রবল সম্ভাবনা ছিল যে, একই দিনে ট্রাম্পের মোদী এবং মুনিরের বৈঠক হত হোয়াইট হাউসে। যা নয়াদিল্লির কাছে একেবারেই কাম্য ছিল না। কারণ, এক জন প্রধানমন্ত্রী, আর অন্য জন সেনাপ্রধান!

এর আগে আয়ুব খান, জিয়া উল-হক এবং পারভেজ মুশারফের মতো পাক সেনাপ্রধানদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা। তবে পাকিস্তানের এই তিন সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্টপদেও আসীন ছিলেন। সেই হিসাবে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে ট্রাম্প বিরল সম্মানই দেখিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধু তা-ই নয়, হোয়াইট হাউসের বৈঠক যেখানে ঘণ্টাখানেকের হওয়ার কথা ছিল, তা শেষ পর্যন্ত দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে। পাক সেনা জানিয়েছে, বৈঠকে ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গও উঠেছে। ট্রাম্প এবং মুনির দু’জনেই মনে করেন, এই বিবাদ শীঘ্রই মিটে যাওয়া প্রয়োজন। পরে এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান ইরানকে খুব ভাল চেনে। ওদের অনেক কিছুই ভাল লাগছে না। এটা ঠিক নয় যে, ইজ়রায়েলের সঙ্গে ওদের সম্পর্ক খারাপ। পাকিস্তান দু’দেশের সম্পর্কেই অবগত। তবে ওরা ইরানকে বেশি ভাল করে চেনে।’’

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। তবে সূত্রের খবর, পাক সরকার ইরান সীমান্ত বন্ধ করলেও মুনির জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইরানেরই পাশে।

পাক সেনা জানিয়েছে, বাণিজ্য নিয়ে ট্রাম্প-মুনিরের আলোচনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই পাকিস্তানের সঙ্গে মজবুত বাণিজ্যিক সম্পর্ক চেয়েছেন। এ ছা়ড়াও বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে দু’জনের মধ্যে।

Donald Trump General Asim Munir Iran Israel Conflict India Pakistan Tension
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy