Advertisement
E-Paper

আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের নাম বদলে ‘যুদ্ধের দফতর’ করে দিচ্ছেন ট্রাম্প! বললেন, এটা অনেক জোরালো শব্দ

কী কারণে এই নাম বদল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকা দু’টি বিশ্বযুদ্ধ এবং বহু যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরেও সে দেশের কোনও দফতরের নামের আগে প্রতিরক্ষা শব্দটি থাকতে পারে না।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৩
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।



আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের নাম বদলে যেতে চলেছে। এ বার থেকে ওই দফতরের নাম হবে ‘যুদ্ধের দফতর’! আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কী কারণে এই নাম বদল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকা দু’টি বিশ্বযুদ্ধ এবং বহু যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরেও সে দেশের কোনও দফতরের নামের আগে প্রতিরক্ষা শব্দটি থাকতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ‘যুদ্ধের দফতর’ লব্জটি ব্যবহৃত হলে তা অনেক জোরালো হবে বলে দাবি তাঁর। ট্রাম্পের কথায়, “পিটার হেগসেথ (মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব)-এর মুখে প্রতিরক্ষা দফতর নামটি শুনেই আমার খারাপ লাগে। আমরা কেন নিজেদের রক্ষা করতে যাব? তাই এখন থেকে যুদ্ধের দফতর কথাটা ব্যবহৃত হবে।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জিতেছি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতেছি। আমরা সবই জিতেছি। তার পরেও আমাদের দফতরের নামের আগে প্রতিরক্ষা শব্দটা থাকবে?”

অতীতে অবশ্য আমেরিকায় ‘যুদ্ধের দফতর’ বলে একটি দফতর ছিল। ১৭৮৯ সালে দফতরটি তৈরি করা হয়। সেই দফতরে এক জন যুদ্ধ সংক্রান্ত সচিবও ছিলেন। ১৭৮৯ সালে আলাদা নৌ দফতর খোলা হয়। যুদ্ধের দফতর আগে আমেরিকার বায়ুসেনার কাজকর্ম পরিচালনা করত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে স্বতন্ত্র সেনা এবং বায়ুসেনা দফতর তৈরি করেন। পরে যদিও সেনাবাহিনীর সব ক’টি বিভাগকে এক ছাতার তলায় এনে তৈরি করা হয় ‘ন্যাশনাল মিলিটারি এস্টাবলিশমেন্ট’ (এনএমই)। পরে সেই দফতরের নাম বদলে হয় প্রতিরক্ষা দফতর। এ বার সেই দফতরের নাম বদলে ফের ‘যুদ্ধের দফতর’ করতে চাইছেন ট্রাম্প।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং জাপানের বিরুদ্ধে চিনের যুদ্ধজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে বুধবার বেজিঙে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে জিনপিং, পুতিন এবং কিমকে একমঞ্চে দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। বিজয় উৎসব হচ্ছে চিনে, আর সেখানে ব্রাত্য আমেরিকা! এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘চিনের বিজয় এবং গৌরব ফেরানোর জন্য অনেক আমেরিকান মারা গিয়েছেন। আমি আশা করি, তাঁদের সাহসিকতা এবং ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।’’ চিন সামরিক আস্ফালন দেখানোর পরেই ট্রাম্পের কটাক্ষ এবং প্রতিরক্ষা দফতরের নাম বদলকে নিছক কাকতালীয় বলে মনে করছেন না অনেকেই। সামরিক শক্তিতে আমেরিকার বিকল্প কেউ নেই, এই বার্তা দিতেই ট্রাম্প এই পদক্ষেপ করছেন বলে দাবি করছেন কেউ কেউ।

US Defence US Defence Secretary Donald Trump US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy