তিনি যত দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকবেন, তত দিন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না চিন। রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে ট্রাম্পের আরও দাবি, এর পরিণাম সম্পর্কে বেজিং অবহিত। তাই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে শি জিনপিং প্রশাসন ট্রাম্পের বিরাগভাজন হতে চাইবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। কখনওই তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতা’ স্বীকার করেনি চিনের কমিউনিস্ট সরকার। তবে ‘স্বাধীন’ তাইওয়ানকে সামনে রেখে বহু বার চিনের উপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি। অন্য দিকে, ছ’বছর পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হন ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। সেই সাক্ষাতে ভবিষ্যতেও চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ট্রাম্প।
এই আবহে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চিন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করলে তিনি কী পদক্ষেপ করবেন? মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিবিএস নিউজ়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমে এই বিষয়ে সবিস্তার কিছু বলতে চাননি ট্রাম্প। তবে তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জিনপিঙের সঙ্গে তাঁর তাইওয়ান সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয়নি। জিনপিং বিষয়টি বুঝতে পেরেই তাইওয়ান প্রসঙ্গ তোলেননি বলেই দাবি করেন ট্রাম্প। তবে বিষয়টি কী, তা খোলসা করেননি তিনি। তার পরেই অবশ্য আড় ভেঙে ট্রাম্প বলেন, “উনি (জিনপিং) এবং ওঁর লোকেরা বৈঠকে প্রকাশ্যেই বলছিলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় আমরা (তাইওয়ানের বিরুদ্ধে) কিছু করব না। কারণ ওরা জানে, এর পরিণাম কী হবে।” এই কথা বলে ট্রাম্প প্রকারান্তরে চিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।