২০২৫ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার কার বা কাদের হাতে উঠতে চলেছে, তা জানা যাবে শুক্রবারই। পুরস্কারপ্রাপক হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এই বিষয়ে ফের প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “কী হবে, তা তিনি জানেন না।” তবে আরও এক বার এ-ও শুনিয়ে দেন যে, বিশ্বে সাত সাতটি যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন। আট নম্বরটিও (গাজ়ায় ইজ়রায়েল বনাম হামাস) থামানোর পথে। তবে ভারত-পাক সংঘাত থামানোই তাঁর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ভারত এবং পাকিস্তান (সংঘাত) খুব বড় ছিল। দুটোই পরমাণু শক্তিধর দেশ।” তার পরেই নিজের শুল্কনীতির সমর্থনে ট্রাম্প বলেন, “আমি সংঘাত থামিয়েছি বাণিজ্য এবং শুল্কের কথা বলে। যদি আমাদের কাছে শুল্ক না-থাকত, তা হলে আমরা এটা করতে পারতাম না।” কোন অস্ত্রে তিনি নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সংঘাত থামিয়েছিলেন, তা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি বলেছিলাম যদি আপনারা (ভারত এবং পাকিস্তান) লড়াই করে যান, তা হলে আমি প্রত্যেকের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাব। তার পরেই তারা সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ থামিয়ে দিল।”
নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার কোনও ধারণা নেই (পুরস্কার পাবেন কি না, তা নিয়ে)।” তার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, কী ভাবে তাঁরা সাত যুদ্ধ থামিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করবেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। এই প্রসঙ্গেই আত্মপ্রশংসার সুরে ট্রাম্পের সংযোজন, “আমার মনে হয় না ইতিহাসে কেউ এত যুদ্ধ থামিয়েছে।”
গত ২০ জুন ভারত-পাক যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যেই অসাধারণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প। কৌশলে তিনি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা করিয়েছেন। পরিস্থিতির খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে বৃহত্তর সংঘাত এড়ানো গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিপর্যয় আটকানো গিয়েছে।’’ ভারত অবশ্য বরাবরই বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত থামাতে তৃতীয় কোনও পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।