Advertisement
E-Paper

পর্নতারকাকে ঘুষ মামলা: দোষী হলেও জেল বা জরিমানার সাজা হল না ট্রাম্পের! মিলে গেল মুক্তি

আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। এই মামলার কখনওই কোনও সারবত্তা ছিল না। পুরোটাই ডেমোক্র্যাটদের চক্রান্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১২
(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং  স্টর্মি ড্যানিয়েলস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্টর্মি ড্যানিয়েলস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

‘দোষী’ সাব্যস্ত হলেও জেলে যেতে হচ্ছে না আমেরিকার প্রাক্তন তথা ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালত এই রায় দিয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। তার আগে আদালতের এই রায় তাঁর কাছে ‘বড় স্বস্তি’ বলে মনে করা হচ্ছে।

আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে শনিবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। এই মামলার কখনওই কোনও সারবত্তা ছিল না। পুরোটাই ডেমোক্র্যাটদের চক্রান্ত।’’ বিচারক জুয়ান মার্চেন তাঁর রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পকে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও গত বছর টানা ছ’সপ্তাহের শুনানির পরে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিউ ইয়র্ক আদালতের ১১ সদস্যের জুরি বোর্ড। ওই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগের সব ক’টিই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিল বোর্ড।

পর্নতারকা স্টর্মির দাবি ছিল, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। এর ১০ বছর পরে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে মুখ বন্ধ রাখতে তাঁকে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। অবশ্য গোড়া থেকেই ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। সে বছরের এপ্রিলে তাঁকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতারও করা হয়েছিল। যদিও গ্রেফতারের পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রবীণ নেতা।

জুরি বোর্ডের নির্দেশ ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প এবং তাঁর অনুগামী রিপাবলিকান নেতারা। রায় ঘোষণার পরে শনিবার ট্রাম্প আরও এক বার সেই ‘রাজনৈতিক চক্রান্তে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন। যদিও ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন।

Hush Money Case Donald Trump Stormy Daniels US President US Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy