এ বার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উপর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানালেন, ইউরোপের যে ২৭টি দেশ ইইউ-এর সদস্য, সেগুলি সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেনি। সেই কারণে তাদের উপরেও শুল্ক চাপানো হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি ট্রাম্প।
কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। তিনটি দেশই যা নিয়ে আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের সঙ্গেও ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধের’ পথে হাঁটলে তা আমেরিকার জন্য খুব একটি সুবিধার হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ট্রাম্পকে একটি অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি ইইউ-এর উপর শুল্ক আরোপ করতে চলেছি কি না জানতে চাইছেন? অবশ্যই। ইইউ আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে।’’
আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের রোষানলে যে ইইউ রয়েছে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই নিজের সমাজমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। লিখেছিলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যে ঘাটতি রয়েছে। আমি ইইউ-কে বলেছি, এই ঘাটতি ওদের দ্রুত পূরণ করতে হবে। আমাদের কাছ থেকে আরও বেশি করে খনিজ তেল এবং গ্যাস কিনতে হবে ইইউ-কে। না হলে শুল্ক আসছে।’’ ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প। তার পর দুই প্রতিবেশী দেশ এবং চিনের উপর শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন। এ বার ইউরোপ নিয়েও বার্তা দিলেন।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির কড়া জবাব দিয়েছে ইইউ। তিন দেশের উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তাদের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের উপর আমেরিকার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। যে কোনও শুল্ক অর্থনীতির অগ্রগতিকে অযথা ব্যাহত করে। মুদ্রাস্ফীতিকে ডেকে আনে। ইউরোপের পণ্যের উপর অযথা শুল্ক আরোপ করলে আমরাও কঠোর পদক্ষেপ করব। এখনও পর্যন্ত কোনও বাড়তি শুল্কের কথা আমরা শুনিনি।’’ ট্রাম্পের নতুন নীতির বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একটি বৈঠক করতে পারেন।