আমেরিকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এ বার থেকে ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ বা ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ওই ভিসা কার্যকর করল মার্কিন প্রশাসন। বুধবার থেকে গোল্ড কার্ড ভিসার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।
‘গোল্ড কার্ড’ ভিসার সূচনা করে ট্রাম্প বলেন, “দেশ এবং আমার জন্য দারুণ উত্তেজক একটা মুহূর্ত এটা। কারণ, আমরা ট্রাম্প গোল্ড কার্ডের সূচনা করলাম। সাইট (গোল্ড কার্ড ভিসার আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইট) ৩০ মিনিটের জন্য চালু হয়ে যাচ্ছে।” ট্রাম্প জানান, ‘গোল্ড কার্ড’ এত দিন ধরে চালু থাকা গ্রিন কার্ড ভিসার মতোই। তবে ‘গোল্ড কার্ডে’ আরও অনেক অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। তবে তার জন্য আবেদনকারীদের গুনতে হবে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি)।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, কোনও কর্মীর দ্রুত ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মার্কিন সংস্থাগুলিও ২০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৭ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার বেশি) খরচ করতে পারে। ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আবেদনকারীকে ১৫ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৯ টাকা) ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ জমা দিতে হবে। আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি’ দফতরকে দেওয়া এই টাকা ফেরতযোগ্য নয়।
‘প্রসেসিং ফি’ দেওয়ার পর আবেদনকারীর নথিপত্র যাচাই করা হবে। যাচাইপ্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারীকে ১০ লক্ষ ডলার ‘উপহারস্বরূপ’ মার্কিন কোষাগারে জমা করতে হবে। হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা, আবেদনকারী যে আদতে আমেরিকার উপকারই করবেন, ওই ‘উপহার’ই তার প্রমাণ হিসাবে গণ্য হবে। ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসার ওয়েবসাইট
জানাচ্ছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ফি জমা দিতে হতে পারে। তবে এই বিষয়ে সবিস্তার কিছু জানানো হয়নি।
এত দিন আমেরিকায় বসবাস করার জন্য অ-অভিবাসীরা ‘গ্রিন কার্ড’-এর জন্য আবেদন করতে পারতেন। গ্রিন কার্ডের সঙ্গে ‘গোল্ড কার্ড’-এর কী ফারাক, আগেই তারও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন আমেরিকার বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রকল্প তৈরিই করা হয়েছে বিদেশের এমন কিছু দুর্দান্ত মেধাসম্পন্ন মানুষের জন্য, যাঁরা আমেরিকায় নতুন কাজ এবং বাণিজ্যের পরিসর তৈরি করবেন।