প্যালেস্টাইনের ১০ লক্ষ মানুষকে উত্তর আফ্রিকার একটি দেশে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে। বলা হয়েছে, প্যালেস্টাইনিদের নিয়ে এই পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প আলোচনা করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও। যদিও কোনও তরফেই আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ় সূত্র উল্লেখ করে এই খবর জানিয়েছে।
রিপোর্টে দাবি, উত্তর আফ্রিকার লিবিয়ায় প্যালেস্টাইনিদের সরাতে চাইছেন ট্রাম্প। সেখানে অন্তত ১০ লক্ষ প্যালেস্টাইনিকে স্থায়ী ভাবে পুনর্বাসিত করার ভাবনা রয়েছে তাঁর। এ বিষয়ে লিবিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। এই পরিকল্পনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। লিবিয়ার কয়েক হাজার কোটি টাকার তহবিল দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। রিপোর্টে দাবি, প্যালেস্টাইনিদের পুনর্বাসন দিতে লিবিয়ার সরকার রাজি হয়ে গেলে বিনিময়ে ওই তহবিল ছেড়ে দিতে পারেন ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত চুক্তি এখনও হয়নি।
আরও পড়ুন:
পশ্চিম এশিয়ায় ভূখণ্ড নিয়ে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধ চলছে। গাজ়ায় সেই যুদ্ধে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। ওই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে প্যালেস্টাইনিদের অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। আগেও এই ধরনের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এ বার রিপোর্টে দাবি করা হল, লিবিয়ায় প্যালেস্টাইনিদের পুনর্বাসনের কথাবার্তা চলছে। আমেরিকার তরফে এই রিপোর্ট অস্বীকার করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন কোনও পরিকল্পনা হয়নি, এর কোনও অর্থই নেই। বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে এই পরিকল্পনার মিল নেই।’’ লিবিয়ার সরকারও একই কথা জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য তাদের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করা হয়নি। সরকারের সঙ্গে এমন কোনও আলোচনাও হয়নি।
আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রাম্প প্যালেস্টাইনিদের গাজ়া থেকে সরিয়ে অন্যান্য দেশে পাঠানোর কথা বলে এসেছেন। পুনর্বাসনের জন্য উপযুক্ত হিসাবে মিশর, জর্ডন বা আরব দেশগুলির কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু কোনও দেশ এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায়নি। প্যালেস্টাইনিরাও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বার বার। তাঁরা মাতৃভূমি ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হয়েছে।