ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে প্রায় ১৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার) অনুদান দিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সেই অনুদান বন্ধ করে দেয় ইলন মাস্কের দফতর। তার পর থেকেই এই অনুদান নিয়ে পূর্বতন জো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার তিনি ভারতের এই অনুদানকে ‘কিকব্যাক প্রকল্প’ বলে উল্লেখ করলেন। এই ধরনের ব্যবস্থাকে ‘বেআইনি’ বলে মনে করা হয়। ব্যবসায়িক লাভের বিনিময়ে কোনও ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দেশকে বেআইনি ভাবে আর্থিক সাহায্য করা হলে তাকে বলে ‘কিকব্যাক ব্যবস্থা’।
আমেরিকায় রিপাবলিকান গভর্নরদের সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের অনুদানের প্রসঙ্গ ওঠে। ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার? ভারতের ভোট নিয়ে আমরা কেন মাথা ঘামাব? আমাদের নিজেদের তো অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের নিজেদের ভোটের হার নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এতগুলো টাকা ভারতে যাচ্ছিল! ভাবতে পারছেন?’’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘এটা একটা কিকব্যাক স্কিম। ওরা টাকা পাচ্ছে, খরচ করছে, তার পর লাথি মেরে আবার যেখান থেকে এসেছিল, সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কেউ জানে না কী চলছে।’’
আরও পড়ুন:
ভারতকে বেআইনি ভাবে এই অনুদান দেওয়া নিয়ে এর আগে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন ট্রাম্প। মাস্কের পাশে দাঁড়িয়ে পূর্বসূরিকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।”
আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ বাতিলের কথা জানায় গত রবিবার। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটা বড় অঙ্কের অর্থসাহায্যও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের করের পরিমাণ নিয়েও এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। কিছু দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে হোয়াইট হাউসে। ট্রাম্প তার পরেও বলেছিলেন, ‘‘ভারতকে এবং ওদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ওরা বড্ড বেশি কর নেয়। কর বেশি হওয়ার কারণে আমরা ভাল করে ভারতে বাণিজ্য করতে পারি না। ওদের অনেক টাকা আছে। কেন ওদের শুধু শুধু আমরা এতগুলো টাকা দেব?’’ আমেরিকার অনুদান এবং ট্রাম্পের বক্তব্যের পর পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। রাহুল গান্ধীর বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরে এর সঙ্গে তাঁর যোগ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।