গাজ়ায় যুদ্ধ শেষ হয়েছে। সোমবার ইজ়রায়েলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিম এশিয়ায় এ বার শান্তি ফিরবে বলে দাবি করেছেন তিনি। ট্রাম্প সোমবার ইজ়রায়েলের আইনসভা নেসেটে ভাষণ দেবেন। আগেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই ভাষণের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর দেশে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। তেল আভিভে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে ‘জয়ধ্বনি’ দিতে শোনা গিয়েছে জনতাকে। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরানোর জন্য ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ইজ়রায়েলের বাসিন্দাদের একাংশ কুর্নিশ জানাচ্ছেন। পাশাপাশি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
ট্রাম্পকে কুর্নিশ জানাতে তেল আভিভের হোস্টেজেস্ স্কোয়্যার এলাকায় বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের ভাষণের সময় ট্রাম্পের প্রসঙ্গ উঠলে তাঁরা ‘জয়ধ্বনি’ দিয়ে ওঠেন। কিন্তু একই ভাষণে উইটকফ ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুললে জনতার ভিড় থেকে উড়ে আসে কটাক্ষ এবং বিদ্রুপ। অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় অকারণে বিলম্ব করেছেন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন:
ইজ়রায়েলের আইনসভায় এর আগে তিন জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভাষণ দিয়েছেন— ১৯৭৯ সালে জিমি কার্টার, ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন এবং ২০০৮ সালে জর্জ বুশ। ট্রাম্প চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই কাজ করতে চলেছেন।
ইজ়রায়েল থেকে ট্রাম্প সোজা চলে যাবেন মিশরে। সেখানে সোমবার অন্তত ২০ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বৈঠক রয়েছে। থাকবেন প্যালেস্টাইনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইজ়রায়েলের কেউ অবশ্য এই বৈঠকে থাকছেন না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মিশরের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি যেতে না পারায় প্রতিনিধি হিসাবে পাঠাচ্ছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহকে।
গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পণবন্দিদের মুক্তি এবং বিনিময়ে ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদের মুক্তির কথা তাতে বলা হয়। প্রাথমিক ভাবে শর্তে রাজি হয়েছে যুযুধান ইজ়রায়েল এবং হামাস। নেতানিয়াহুর বাহিনী গাজ়া থেকে সরতে শুরু করেছে। ঘরে ফিরতে চলেছেন প্যালেস্টাইনিরা। সোমবার বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে ইজ়রায়েল আশাবাদী। বিধ্বস্ত গাজ়ায় ত্রাণ, খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। ইজ়রায়েলের কঠোর নীতির কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এ বার স্বাভাবিক হবে বলে ট্রাম্প আশাবাদী।