নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
এক মাত্র পোপ ছাড়া অন্য কোনও বিদেশির জন্য আমেরিকার মাটিতে এত বড় সমাবেশের আয়োজন হয়নি বলে দাবি ভারতীয়-বংশোদ্ভূত মার্কিনদের একাংশের। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, হিউস্টনের সেই ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ কূটনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগামিকাল হিউস্টনে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সোমবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনের সময়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করার কথা ট্রাম্পের। মঙ্গলবার ফের তাঁর পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা মোদীর সঙ্গে।
হিউস্টনে পৌঁছে আজ শহরের বাসিন্দাদের ‘হাউডি’ জানিয়েছেন মোদী। শহরের ৫০ হাজার আসনের এনআরজি স্টেডিয়ামে হবে মোদীর সম্মেলন। একটিও আসন খালি থাকছে না বলে দাবি অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ‘টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরাম’-এর। তাদের আরও দাবি, স্টেডিয়ামের বাইরেও নাকি ভিড় থাকবে। ‘বিশেষ ঘোষণা’ করতে পারেন বলে আসর আরও তাতিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্পের এই কল্পতরু ভূমিকার কারণটা কী? হিউস্টনের পরে কি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভাতেও তাঁকে মোদীর পাশে দাঁড়াতে দেখা যাবে? সেখানে কাশ্মীর নিয়ে ঝড় তোলার চেষ্টা করবেন ইমরান।
কূটনৈতিক শিবির মনে করছে, ‘হাউডি মোদী’ নিয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সম্প্রদায় মার্কিন রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই আগামী বছরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এই সম্প্রদায়কে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের মধ্যে শতকরা ৬২ ভাগ নিজেদের ডেমোক্র্যাট হিসেবেই পরিচয় দেন। কিন্তু তাঁদেরও খুশি রাখতে পারলে ট্রাম্পের ভোটের বাজারে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। তবে কূটনীতিকদের মতে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে একটা অংশ মোদীর জাতীয়তাবাদী, দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে উদ্দীপ্ত হয়ে উঠছেন। মার্কিন রাজনীতিতে তাঁরা ঝুঁকছেন ট্রাম্পের দিকে।
কূটনীতিকেরা জানাচ্ছেন, ‘হাউডি’ সম্মেলনের পাশাপাশি টেক্সাসে আমেরিকার বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও সারবেন মোদী। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি পৌঁছে যাবেন নিউ ইয়র্কে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে।
আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মতে, জনসমাবেশে মোদী-ট্রাম্পের এই যুগলবন্দি ‘অনন্য’ একটি ঘটনা। ভারতকে আমেরিকা বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে বাড়তি সুবিধেগুলি আগে দিত সেগুলি সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, সেগুলি আবার ফিরিয়ে দিয়ে একটা চমক দিতে পারেন ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy