Advertisement
E-Paper

চার ভোটের ব্যবধানে মার্কিন আইনসভায় ‘জয়ী’ ট্রাম্পের ‘বড় এবং সুন্দর’ বিল! শুক্রবারই চালু হয়ে যাচ্ছে নতুন আইন

গোড়া থেকেই কর সংস্কার এবং অভিবাসন সংক্রান্ত এই বিলটি নিয়ে আপত্তি ছিল আমেরিকার অধুনা বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির। ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউ বিলটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪১
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

‘বড় এবং সুন্দর বিল’ কার্যকর করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আর কোনও বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার আমেরিকার আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টিটিভসে পাশ হয়ে গেল বিলটি। শুক্রবার ভোর ৫টায় এই বিলে স্বাক্ষর করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পরেই এই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

মার্কিন আইনসভা বা কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেটে বিলটি আগেই অনুমোদন পেয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিলটি নিম্নকক্ষে পাশ করে। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২১৮টি, আর বিপক্ষে ২১৪টি। গোড়া থেকেই কর সংস্কার এবং অভিবাসন সংক্রান্ত এই বিলটি নিয়ে আপত্তি ছিল আমেরিকার অধুনা বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির। ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউ বিলটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তবে ভোটের ফল বলছে, চার ভোটের ব্যবধানে বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায় করেছে। অবশ্য, বর্তমানে মার্কিন আইনসভার দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রাম্পের দল।

বিলটি হাউসে পাশ হওয়ার পরে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় বিলে সই করতে চলেছি। এটা দেশকে রকেট গতির উন্নতিতে পৌঁছে দেবে। দারুণ ব্যাপার হতে চলেছে।” হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯০০ পাতার বিলটি ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের দফতরে পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার ভোরে তাতে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস।

বিলটিতে যেমন কর সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তেমনই প্রতিরক্ষা খাতে, বিশেষ করে অবৈধবাসী হটানোর কাজে বড় অঙ্কের টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর ট্রাম্প নিজেও দাবি করেছেন, আমেরিকার সুরক্ষার জন্য এটা বড় পদক্ষেপ।

বিলে নিম্ন আয়ের ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি থেকে বিপুল অর্থ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই ওই বিল নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে আমেরিকা জুড়ে। তা ছাড়া এই বিল কার্যকর হলে অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা খাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা সহজ হয়ে যাবে। সপ্তাহখানেক আগেই ট্রাম্পের বিলের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের তথা একদা ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ওই বিল আইনে পরিণত হলে তা হবে রিপাবলিকান পার্টির ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’র শামিল। মাস্ক সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘বিলটি আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান ধ্বংস করে দেবে। এটা উন্মাদ এবং ধ্বংসাত্মক।’’ যদিও নতুন অর্থবিলটিকে বরাবর ‘বড় এবং সুন্দর বিল’ বলেই ব্যাখ্যা করে এসেছেন ট্রাম্প।

US Congress US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy