E-Paper

ট্রাম্প-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, শুনতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার পর পরই কঠোর অভিবাসন নীতি মেনে চলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই পথে হেঁটেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শপথগ্রহণের পরে প্রথম কাজের দিনেই একটি বিশেষ নির্দেশে সই করেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৪৮
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিকত্ব পাওয়ার কিছু ক্ষেত্রের উপরে বিধি-নিষেধ জারি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয়েছিল মামলা। এ বার সেই মামলা শুনতে রাজি হল আমেরিকান সুপ্রিম কোর্ট। তবে আপাতত সেই মামলার শুনানির দিনক্ষণ স্থির হয়নি। মনে করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানির পরে দেশের শীর্ষ আদালতের রায় দিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তবে আইনি বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা-ই হোক না কেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির উপরে তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে চলেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার পর পরই কঠোর অভিবাসন নীতি মেনে চলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই পথে হেঁটেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শপথগ্রহণের পরে প্রথম কাজের দিনেই একটি বিশেষ নির্দেশে সই করেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছিল, যে সব অভিবাসী অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকেছেন, তাঁদের সন্তান এ দেশের মাটিতে জন্ম নিলে সেই সব শিশুকে আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়াহবে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য ছিল, আমেরিকার নাগরিকদের সুরক্ষিত এবং বিপন্মুক্ত রাখতেই অভিবাসন নীতি কঠোর করার পথে হাঁটছে তারা। একই সঙ্গে অস্থায়ী ভিসা নিয়ে আমেরিকায় আসা কোনও দম্পতির সন্তানও এ দেশে ভূমিষ্ঠ হলে তাকে আমেরিকান নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেনপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

আমেরিকার ইতিহাসে অন্তত ১৬০ বছর ধরে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রচলন রয়েছে। এ দেশের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনে বলা হয়েছিল, কোনও শিশু দেশের যে কোনও প্রান্তে জন্মালেই সে আইনি ভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে। শুধু মাত্র অন্য দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি বা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্তানের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নয়। ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে সংবিধানের ১৪তম সেই সংশোধনীতেই পরিবর্তন আনার তোড়জোড় শুরু করেন। তবে ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন’-এর আইনি ডিরেক্টর সেসিলিয়া ওয়াংয়ের বক্তব্য, আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্টেরই সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘গত দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই আইন আমেরিকার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। আমাদের ঐতিহ্যই হল যে কোনও শিশু এ দেশের মাটিতে জন্ম নিলে সে এ দেশের নাগরিক হওয়ার দাবিদার হয়। বিষয়টি এক বার হলেও দেশের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছনো দরকার ছিল। আমরাও দেখতে চাই, এই বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদলতের পর্যবেক্ষণ ঠিক কী হতে চলেছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

america Donald Trump

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy