খাইবার-পাখতুনখোয়ায় পাক সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের আবহে মধ্যেই সীমান্তে যুদ্ধ মহড়া শুরু করল পাক সেনাবাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সমর অনুশীলনে তাদের দোসর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্র কাজাখস্তানের ফৌজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগান সীমান্তে পাক সেনার এই ‘তৎপরতা’ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে থেকে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের পব্বিতে পাক সেনার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। ‘দোস্তারম-৩’ নামে এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে পাক সেনার ‘স্পেশাল ফোর্স’-এর ইউনিটগুলি। রয়েছে আধুনিক হেলিকপ্টার-সহ পাক বাহিনীর নতুন নানা অস্ত্রসম্ভারও।
পাক সেনার তরফে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অনুশীলনের উদ্দেশ্যেই এই সামরিক মহড়া। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়ো এলাকায় ‘দোস্তারম-৩’-এর উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে একাধিক বার সীমান্তে সেনা মহড়ার অছিলায় পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছে আফগান সরকার।
ঘটনাচক্রে, সীমান্ত লাগোয়া পব্বি অঞ্চল থেকে পঞ্জশির উপত্যকাও খুব বেশি দূরে নয়। সেখানে শেষ বিরোধী ঘাঁটি থেকে পাক মদতে পুষ্ট তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর যোদ্ধারা। তালিবান বিরোধী বাহিনীর মনোবলে আঘাত হানাও এ ক্ষেত্রে পাক বাহিনীর উদ্দেশ্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তা ছাড়া ইসলামাবাদের এই তৎপরতার পিছনে অন্য ‘অঙ্ক’ও দেখছেন কূটনীতিকদের একটি অংশ। ইতিমধ্যেই তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত মুসলিম দেশগুলি আফগানিস্তানে তালিবান দখলদারি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাজিকিস্তান সরাসরি তালিবান বিরোধী জোটকে সমর্থন করছে। এই পরিস্থিতিতে কাজাখস্তানকে পাশে নিয়ে ইমরান সরকার মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বাড়াতে চাইছে বলেও ওই অংশের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy