পেন্টাগনের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম রুশ বোমারুর উপর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সোমবার এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে রুশ বিমানঘাঁটিতে কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় বোমারু বিমান রাখার কারণও।
এর পরেই আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে ২০১০ সালে পরমাণু অস্ত্র সংবরণ সংক্রান্ত আমেরিকা-রাশিয়া ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’। ওই চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশকেই তাদের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমানগুলিকে এমন ঘাঁটিতে রাখতে হবে যা নজরদারি উপগ্রহের সাহায্যে বা পরমাণু অস্ত্র শনাক্তকরণে ব্যবহৃত ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল মিনস’ (এনটিএম)-এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
ওই চুক্তি মেনেই নিয়মিত ভ্লাদিমির পুতিনের টিইউ-৯৫এমএস, টিউ-২২এম৩-এর মতো পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম গুরুত্বপূর্ণ ‘স্ট্র্যাটেজিক বম্বার’ বিমানবহরের অবস্থান জানতে পেরেছে আমেরিকা। অভিযোগ, গোপনে সেই তথ্য পৌঁছে গিয়েছে ইউক্রেনে। আর সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই গত দেড় বছর ধরে সন্তর্পণে সীমান্ত টপকে রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন মজুত করে হামলার নীল নকশা তৈরি করেছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনী। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’র মেয়াদ। পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার জেরে তার আগেই কি চুক্তিতে ইতি টানবেন পুতিন?