সব হারানোর কান্না। জাপানের কুমামোতো শহরের এক পার্কই এখন আশ্রয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ছবি: এ পি।
ভূমিকম্পের বিরাম নেই জাপানে। এই নিয়ে বড় ঝটকা পরপর তিন বার।
আজ কেঁপে উঠল দক্ষিণ জাপানের কিছু অংশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭। সেই সঙ্গে একের পর এক ‘আফটার শক’। আজকের কম্পনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জন মারা গিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে জাপানে তিন দিনের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫। আশঙ্কা, এখনও বেশ কিছু মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছেন। লাগাতার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
বৃহস্পতিবার প্রথম ৬.৪ রিখটার মাত্রার কম্পনে নড়ে উঠেছিল দক্ষিণ জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছোটখাটো কম্পন এই দেশে প্রায় রোজকার ঘটনা হলেও, এত বড় বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে ৩ হাজার সেনা। সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। তবে আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তাকে সত্যি করে শুক্রবারও ফের কেঁপে ওঠে দক্ষিণ জাপান। কম্পনমাত্রা ৭.৪।
পাহাড়ি এলাকায় বড় বড় ধস নেমে চাপা পড়েছে বহু বাড়িঘর, রাস্তা, রেললাইন। গুঁড়িয়ে গিয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক বহুতল। প্রশাসনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। ঘরবাড়ি ছে়ড়ে পথের ধারে কম্বল মুড়ে রয়েছেন বহু মানুষ।
তিন দিনের টানা ভূমিকম্পের প্রতিটিরই উৎসস্থল কিউসু দ্বীপের কুমামোতে। ওই এলাকার গ্রামগুলি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বাকি দেশ থেকে। ধসে ভেঙে গিয়েছে সড়ক। বন্ধ জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দল পৌঁছনো বেশ কঠিন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আশঙ্কা, হাজারখানেক মানুষ চাপা পড়ে আছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে।
তবে আরও কঠিন সময় আসছে, বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া দফতর। ঝড় ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ রাতে বেশ খানিকটা নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। বৃষ্টিতে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে ধসপ্রবণ এলাকাগুলি।
জাপানের এই বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তিনি টুইট
করেন, ‘‘জাপানের ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানিতে আমি গভীর দুঃখিত। মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy