ফিশ অ্যান্ড চিপস আর চিজকেক, সঙ্গে বেঠোফেনের নবম সিম্ফনি। মৃত্যুকে এই ভাবেই বরণ করে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রবীণতম বিজ্ঞানী ডেভিড গুডঅল (১০৪)। স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার মেলেনি নিজের দেশে। সুইৎজারল্যান্ডে চলে এসেছিলেন তাই। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এগজিট ইন্টারন্যাশনাল’-এর ক্লিনিকে নিজে হাতল ঘুরিয়ে ধমনীতে প্রবেশ করালেন চিরঘুমের ওষুধ।
গুডঅল-এর এই ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। অস্ট্রেলিয়া থেকে আদৌ তাঁকে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়, এমনও বলেছিলেন কেউ কেউ। বুধবারও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনার মনে কি কোনও দ্বিধাই নেই?’’ শীর্ণ অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গুডঅল বলেন, ‘‘না। একদমই নয়।’’ সারা জীবন উদ্ভিদবিদ্যা আর বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গবেষণা করেছেন, কাজ করেছেন নাটকে। গুডঅল-এর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট— ‘‘আমি রোগাক্রান্ত নই। কিন্তু বার্ধক্য আমার জীবনীশক্তি কেড়ে নিয়েছে। আমি কাজ করতে পারছি না। এ ভাবে বাঁচতে চাই না।’’ তিন নাতিনাতনি নিয়ে শেষ দিনটা বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বট্যানিকাল গার্ডেন ঘুরে দেখেছেন। মৃত্যুর আগেও কানে লেগে রইল ‘ওড টু জয়’।