দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তদন্তের আবহেই এ বার সক্রিয় হল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হল আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে।
কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ১৩ জনের। আহত বহু। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে—হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে ধৃত মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শাহিদ এবং দিল্লি বিস্ফোরণের ‘মানববোমা’ উমর-উন-নবি রয়েছেন সেই তালিকায়।
দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের কেন্দ্রস্থল ছিল এই আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার গ্রেফতার করা হল সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকেই। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিশন কাউন্সিল)-এর স্বীকৃতি ছাড়াই তাদের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আল-ফালাহ্ কর্তৃপক্ষ তাঁদের ওয়েবসাইটে ন্যাক-স্বীকৃতির মিথ্যা দাবি করেছেন। মঙ্গলবার রাতে ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-ফালাহ্ গ্রুপের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে তল্লাশি অভিযানের সময় সংগৃহীত তত্যপ্রমাণ এবং তার বিশদ বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্দিকিকে।