—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে নৌসেনার আট জন প্রাক্তন কর্তাকে প্রাণদণ্ডে দিল কাতারের একটি আদালত। প্রায় এক বছর ধরে নৌসেনার ওই আধিকারিকদের বন্দি করে রেখেছে কাতার। মৃত্যুদণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করে মন্ত্রক জানিয়েছে, সম্ভাব্য সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
কাতার প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সে দেশের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই আট আধিকারিক। ওই আট জনের মধ্যে কেউ কেউ অত্যন্ত গোপন এবং স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাজ করতেন বলেও জানিয়েছে ওই সূত্রটি। কিন্তু পরে ওই আট জনের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তি করা এবং গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে আট জনকে গ্রেফতার করে জেলবন্দি করা হয়।
তবে কূটনৈতিক স্তরে অভিযুক্তেরা যাতে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, তার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল কাতার। তাঁদের মুক্তির জন্য সম্প্রতি একাধিক বার উদ্যোগী হয় ভারত। কিন্তু নয়াদিল্লির সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নির্দেশে আমরা বিস্মিত। আমরা আদালতের বিস্তারিত নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি। আট জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আইনগত সব দিক খতিয়ে দেখার জন্যও পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।” ওই বিবৃতিতে নয়াদিল্লির তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’। তাই কী কারণে এই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, সে বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতেও।
হামাস-ইজ়রায়েল চলতি সংঘাতের আবহে এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোটের উপর নিরপেক্ষতার নীতি বজায় রেখেছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের আট জন প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল আরব রাষ্ট্র কাতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy