মায়ানমারের নির্বাচন কমিশনের কর্তাকে গুলি করে খুন। প্রতীকী ছবি।
বিদ্রোহীদের গুলিতে খুন হলেন মায়ানমারের নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রধান। আজ দেশের সেনাবাহিনী জুন্টা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ কথা।
দু’বছর হয়ে গেল সেনার দখলে মায়ানমার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় নেই। সরকারি মন্ত্রী-প্রতিনিধিরা বেশির ভাগই গৃহবন্দি, নানা মামলায় জর্জরিত। শাস্তি হয়েছে অনেকেরই। নির্বাচিত শাসক দলের নেত্রী আউং সান সু চি-ও বন্দি। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশ জুড়ে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। মায়ানমারের অর্থনৈতিক অবস্থাও চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে একটি স্বঘোষিত নাগরিক সংগঠন ‘পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস’ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই তাদের। সাম্প্রতিক কালে সেনা সরকারের একাধিক আধিকারিক এদের নিশানায় এসেছে। খুনও হয়েছেন অনেকে। যে তালিকায় নবতম সংযোজন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সাই কউ থু। পূর্ব ইয়াঙ্গনের থিনগানগুনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। সেনা সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে এটুকুই জানানো হয়েছে। এর বেশি কিছু খোলসা করা হয়নি।
নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করছে এ দেশের সেনাবাহিনী। জুন্টার বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন হলেও তা কোনও ভাবেই স্বচ্ছ হবে না। সু চি-র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’-এর বৈধতা খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, বিরোধী দলগুলিকে নির্বাচনে নাম নথিভুক্তই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ দিকে সেনার সমর্থনপ্রাপ্ত দল ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’-র নাম নথিভুক্ত করা হয়ে গিয়েছে। সু চি-র দল এদের ১৯৯০, ২০১৫, ২০২০ সালে হারিয়েছিল।
দীর্ঘকাল ধরেই এ দেশ একাধিক বিদ্রোহে বিধ্বস্ত। নির্বাচিত শাসক বন্দী। সেনা-বিরোধী বহু গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে দেশজুড়ে। প্রায়শই জুন্টার আধিকারিকদের হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত বছর মায়ানমারের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ইয়াঙ্গনে খুন হন। তাঁকে ওই পদে বসিয়েছিল জুন্টাই। সেনা-ঘনিষ্ঠ ‘মাইটেল’ নামে একটি সংস্থার আধিকারিকও খুন হন ইয়াঙ্গনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy