এক্স (সাবেক টুইটার)-এর পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য সাইবার আক্রমণকে দায়ী করলেন সমাজমাধ্যমটির মালিক তথা ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ক। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন এই ধনকুবের এ-ও দাবি করলেন যে, ইউক্রেন থেকে সাইবার আক্রমণটি চালানো হয়। এই কথা বলে আদতে তিনি ইউক্রেনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার গোটা বিশ্বেই একাধিক বার এক্স-এর পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। অসুবিধার মুখে পড়েন ব্যবহারকারীরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-এর একটি সাক্ষাৎকারে এই বিভ্রাটের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাস্ককে। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, “ঠিক কী হয়েছিল, আমরা জানি না। কিন্তু এটা একটা বড় সাইবার হানার ঘটনা, যা এক্স-এর গোটা ব্যবস্থাকে থামিয়ে দিয়েছিল।” একই সঙ্গে মাস্কের সংযোজন, “ইউক্রেন এলাকার ‘আইপি অ্যাড্রেস’ ব্যবহার করে ঘটনাটি ঘটানো হয়।”
মাস্কের এই মন্তব্যকে ভূ-রাজনৈতিক অঙ্কে মাপছেন অনেকেই। কারণ ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বিরোধী হিসাবেই পরিচিত। তা ছাড়া এখন তিনি আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধানও বটে, যে দফতর ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জ়েলেনস্কির সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধ হয়েছিল ট্রাম্পের। তার পর থেকে এখনও কিভ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। এই আবহে মাস্কের ওই উক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে কোন খাতে বওয়ায়, সে দিকে নজর সকলের।
আরও পড়ুন:
প্যালেস্টাইনপন্থী একটি হ্যাকার গোষ্ঠী অবশ্য সাইবার হানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলাকে সমর্থন জানিয়ে আগেও নানা দেশে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে ওই গোষ্ঠীটি। রবিবার এক্স বিপর্যয়ের পরেই মুখ খুলেছিলেন মাস্ক। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আগেও সাইবার হানার সম্মুখীন হয়েছে এক্স। কিন্তু এ বারের আক্রমণ আরও সংগঠিত ভাবে করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বড় গোষ্ঠী এবং দেশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পরে সরাসরি ইউক্রেনের নাম নিয়েই নিশানা করলেন মাস্ক।