Advertisement
E-Paper

টুইটার ছাড়বেন এলন? জনতা জনার্দনের কাছেই জানতে চান ধনকুবের, বললেন, ‘যা বলবেন শুনব’

টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুধু নিজের মতামতই শুনিয়েই গিয়েছেন এলন। তবে এই প্রথম নিজের বিষয়ে বাকিদের মতামত জানতে চাইলেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১৫
এলন মাস্ক।

এলন মাস্ক।

এতদিন নিজের মতামত শুনিয়েছেন টুইটার প্রধান এলন মাস্ক। এ বার বাকিদের মতামত জানতে চাইলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, টুইটারের সিইও পদে কি তাঁরই থাকা উচিত? না কি সেই ভার তাঁর বদলে তুলে দেওয়া উচিত অন্য কোনও যোগ্যতরের কাঁধে? এই প্রশ্ন এবং তাঁর দু’টি সম্ভাব্য জবাব নিয়ে জনতার দরবারে হাজির হয়েছেন এলন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জনতা যে রায়ই দিক না কেন, তিনি তা মাথা পেতে নেবেন এবং পালন করবেন।

রবিবার রাতে টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টেই এ সংক্রান্ত একটি ভোটিং চালু করেছেন তিনি। এলনের প্রশ্নের জবাবে জনগণ তাঁদের মতদান করতে পারবেন ভোটদান করেই। সোমবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে ৫০ মিনিটে শেষ হতে চলেছে ভোটিং। তার পরই জানা যাবে টুইটারের নতুন হেডস্যর কি থাকছেন? না কি বিদায় নিচ্ছেন।

এলন অবশ্য জানাননি, তিনি না থাকলে তাঁর পদে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সেটা সম্ভবত ভোটিংয়ের পরই ঠিক হবে বলে অনুমান করছেন সকলে। অন্য দিকে, ভোটিংয়ের ফল যদি এলনের বিদায় হয়, তবে তিনি কবে বিদায় নেবেন তা-ও স্পষ্ট করে জানাননি এলন। ফলে সে ব্যাপারেও অস্পষ্টতা রয়ে গিয়েছে। তবে টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যে ভাবে একের পর এক নিজের মত এলন চাপিয়ে দিয়েছেন টুইটারের উপর, তাতে তাঁর ভাবনা হঠাৎ উল্টোখাতে বওয়ায় বিস্মিতই হয়েছেন টুইটারের কর্তাব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কর্তাব্যক্তিকেও। এ ছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন। যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদাভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায় ইন্টারনেট প্রভাবশালীদের মধ্যে। এ ছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল (ডিঅ্যাক্টিভেট) হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছেন এলন, সমালোচিত হয়েছে টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সেই পর্বে ইতি পড়তে চলেছে বলে আশা করছেন অনেকেই।

Twitter Elon Musk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy