তাঁর সঙ্গিনী শিভন জ়িলিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এক ছেলের ‘মিডল নেম’শেখর। এক পডকাস্টে জানালেন আমেরিকান ধনকুবের ইলন মাস্ক।
মাস্কের কথায়, ‘‘আপনি জানেন কি না জানি না, আমার সঙ্গিনী শিভন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি কানাডায় বড় হয়েছেন। আমি যত দূর জানি শিভনের প্রকৃত পিতা সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন। তবে শিশু অবস্থাতেই শিভনকে দত্তক নেয় অন্য এক দম্পতি।’’ শিভন ও মাস্কের চার সন্তান। মাস্ক জানিয়েছেন, তাঁদের এক ছেলের মিডল নেম শেখর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রমণিয়ান চন্দ্রশেখরের নামেই ওই ছেলের ‘মিডল নেম’ শেখর রাখা হয়েছে।
শিভন ২০১৭ সালে মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থায় ‘নিউরালিঙ্ক’-এ যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সেই সংস্থার পরিচালন পর্ষদের সদস্য। পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েল থেকে।
ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বদল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ঘনঘন নীতি বদলের ফলে ভারতীয়দের পক্ষে আমেরিকায় গিয়ে চাকরি করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাক্তন সদস্য মাস্কের বক্তব্য, ‘‘যে সব প্রতিভাবান ভারতীয় আমেরিকায় এসেছেন তাঁদের কাজের ফলে আমেরিকার অনেক লাভ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লা ও গুগলের সুন্দর পিচাইয়ের মতো ব্যক্তির নাম করা যেতে পারে।’’ মাস্কের মতে, ‘‘বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সীমান্তে কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিল না। সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকে না। বাইডেনের আমলে বিপুল অনুপ্রবেশ হয়েছিল।’’
মাস্কের বক্তব্য, এইচ-ওয়ানবি ভিসা প্রকল্পের অপব্যবহার হয়েছিল। আউটসোর্সিং করে এমন কিছু সংস্থা এইচ-ওয়ানবি ভিসা নীতিকে ব্যবহার করে ঘুরপথে কিছু পদক্ষেপ করেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘এমন ঘুরপথে কাজ করা বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু এইচ-ওয়ানবি ভিসা বন্ধ করা উচিত বলে আমি আদৌ মনে করি না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)