মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবাইকে তেহরান ছাড়তে বলার পরেই পর পর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল ইরানের রাজধানী শহর। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব তেহরানের তিন জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। অন্য দিকে, কানাডায় জি৭ শীর্ষ বৈঠক থেকে ইরানকে সংঘাতে না-জড়ানোর বার্তা দিল তিন দেশ। প্রত্যুত্তরে ইরান জানিয়েছে, আপাতত তারা ইজ়রায়েলের মোকাবিলাই করতে চায়।
পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের আবহে এক দিন আগেই জি৭ বৈঠক ছাড়়ছেন ট্রাম্প। এমনকি একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আধিকারিকদের পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলেছেন তিনি। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, ইরানের তেহরান লক্ষ্য করে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালাবে ইজ়রায়েল।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি— এই তিন দেশের বিদেশমন্ত্রী ইরানের বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করে সংঘাতে লাগাম পরানোর বার্তা দেন। আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু বৈঠকে বসার আর্জিও জানান। ফরাসি কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রত্যুত্তরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জানান, আপাতত তাঁরা ইজ়রায়েলের মোকাবিলা করবেন। অর্থাৎ, এখনও সংঘাতে দাঁড়ি টানতে রাজি নয় তেহরান। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, “ইরান কখনওই আলোচনার পথ ছেড়ে চলে আসেনি। কিন্তু এখন তেহরানের লক্ষ্য (ইজ়রায়েলি) আগ্রাসনের মোকাবিলা করা।”