সাদা বালির উপরে হলুদ-কালো পাথর জড়ো করে লেখা চারটি সংখ্যা, ৮৬৪৭। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এই আপাত নিরীহ ছবি পোস্ট করেছিলেন আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রাক্তন প্রধান জেমস কমি। কিন্তু এই ছবির জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার দাবি তুলেছেন রিপাবলিকান এবং ট্রাম্প সমর্থকেরা। বিতর্কের আবহে পোস্টটি মুছে দেন কমি।
আমেরিকায় ‘৮৬’ সংখ্যা দু’টি একত্রে খারাপ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ ছুড়ে ফেলা। আর ‘৪৭’ হল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য প্রযোজ্য সাঙ্কেতিক কোড। কারণ ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। চারটি শব্দকে পাশাপাশি বসালে ট্রাম্পকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রিপাবলিকানদের একাংশ। তা ছাড়া, ওই গোয়েন্দাকর্তা ট্রাম্প-বিরোধী হিসাবেই পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এফবিআই-এর চাকরি খুইয়েছিলেন কমি। সব মিলিয়ে রহস্যময় পোস্ট করে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্পের পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। তাঁর দাবি, এই পোস্টে ট্রাম্পকে খুনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা শাখার প্রধান তুলসী গাবার্ড বলেন, “বিষয়টি হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।” ট্রাম্প অবশ্য এখন আমেরিকায় নেই। তিনি পশ্চিম এশিয়া সফরে রয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার একটি জনসভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আততায়ী। অল্পের জন্য রক্ষা পান ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে রহস্যময় পোস্ট ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিতর্কের মুখে প্রাক্তন ওই গোয়েন্দাকর্তা অবশ্য বলেন, “সমুদ্রসৈকতে হাঁটার সময় আমি কিছু নুড়িপাথর পড়ে থাকতে দেখি। সেই ছবি পোস্ট করি। আমি ভেবেছিলাম এটা কোনও রাজনৈতিক বার্তা। আমি ভাবিনি কেউ কেউ এটাকে হিংসার সঙ্গে যুক্ত করবেন। আমি যে কোনও ধরনের হিংসার বিরুদ্ধে। তাই পোস্টটি নামিয়ে নিয়েছি।’’