Advertisement
০৬ মে ২০২৪
India Maldives Relation

‘ভারতের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিন’, ‘জেদি’ মুইজ্জুকে পরামর্শ দিল্লিঘেঁষা পূর্বসূরির

কিছু দিন আগে ভারতের কাছে ঋণমকুবের আর্জি জানিয়েছিলেন মুইজ্জু। তাঁর পূর্বসূরি ইব্রাহিম সোলির পরামর্শ, জেদ না করে মুইজ্জুর উচিত দিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসা।

Ex Maldivian President Ibrahim Solih advises Mohamed Muizzu to fix ties with India

মলদ্বীপ ভারতের কাছে ঋণমকুবের আর্জি জানিয়েছে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ১০:২২
Share: Save:

ভারতের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিলেই মলদ্বীপের মঙ্গল হবে। তাই প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে জেদ না করার পরামর্শ দিলেন তাঁর পূর্বসূরি তথা মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি। যিনি ভারত‌-ঘনিষ্ঠ হিসাবে আগে থেকেই পরিচিত। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক ভাল ছিল। গত নভেম্বরে সোলিকে হারিয়ে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মুইজ্জু। তার পর থেকেই একাধিক কারণে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

কিছু দিন আগে ভারতের কাছে ঋণমকুবের আর্জি জানিয়েছিলেন মুইজ্জু। এর পরেই সোলি তাঁকে জেদ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে একটির রাজনৈতিক সভায় দাঁড়িয়ে সোলি বলেন, ‘‘আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি, মুইজ্জু ভারতের কাছে ঋণমকুবের আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের কাছে ঋণের কারণে মলদ্বীপে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়নি। চিনের কাছে ১৮০০ কোটি এমভিআর (মলদ্বীপের মুদ্রা) ঋণ আছে মলদ্বীপের। ভারতের কাছে ঋণের পরিমাণ তুলনায় অনেক কম। ৮০০ কোটি এমভিআর।’’

সোলি আরও বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, আমাদের পড়শিরা সাহায্য করবেন। তবে আমাদের উচিত জেদ না করে আলোচনায় বসা এবং ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়া। অনেকেই আমাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু মুইজ্জু কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না। এখন হয়তো পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছেন।’’

সম্প্রতি ভারতের কাছে ঋণমকুবের আর্জি জানিয়ে মুইজ্জু বলেন, ‘‘ভারতের থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছে পূর্বসূরিদের আমল থেকে। তাই আমরা আলোচনা করছি, যাতে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে নরম পদক্ষেপ করা হয়। আমাদের আশা, এর প্রভাব কোনও প্রকল্পে পড়বে না।’’ ভারত মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ হিসাবেই থাকবে বলে জানান তিনি।

গত নভেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। তার পরেই তিনি সে দেশ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেন। ১০ মের মধ্যে মলদ্বীপের তিনটি বিমান ঘাঁটি থেকেই সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান মুইজ্জু। এর মাঝে মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। ভারতে তার পরেই মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। ভারতে থেকে মলদ্বীপে যাওয়ার অনেক টিকিটও বাতিল করে দেওয়া হয়। যার ফলে দেশটি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর চিন সফর সেরে এসেছেন মুইজ্জু। এখনও তিনি ভারতে আসেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE