Advertisement
E-Paper

Bangladesh: কুমিল্লা-ফেনিতে মৌলবাদী হামলায় পাকিস্তানের হাত, আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা

সাম্প্রতিক মৌলবাদী হামলা ও হিংসাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আগেই জানিয়েছে দিল্লি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০০
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

বাংলাদেশের ফেনিতে শনিবার বিকেলেও মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে তারা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার কুমিল্লায় মৌলবাদীরা ভাঙচুর করার পরদিনই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশের অন্তত এক ডজন জেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর— শনিবার রাতে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী খানিকটা কড়া বার্তাই দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক মৌলবাদী হামলা ও হিংসাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আগেই জানিয়েছে দিল্লি। কিন্তু ভারতের স্বার্থ যে এর সঙ্গে যুক্ত, সন্দেহ নেই। কারণ, বাংলাদেশের এই ঘটনা যেমন ভারতে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের একাংশ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। বারে বারে এটা ঘটেছে। শনিবারই দোরাইস্বামীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ভারতের কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও দিল্লির কাছে শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবি জানায়। ঢাকার আশ্বাস সত্ত্বেও প্রতিদিনই যে ভাবে বাংলাদেশের কোথাও না-কোথাও হামলা হচ্ছে, সে বিষয়টি শাসক দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার কাছে তুলে ধরেন দোরাইস্বামী। সূত্রের খবর, ওবায়দুল কাদের বলেন— সরকারকে বিপাকে ফেলতে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও মৌলবাদীরা মিলে এই চক্রান্ত করেছে। পুলিশ-প্রশাসন কঠোর ভূমিকা নিয়েছে। সূত্রের খবর, ষড়যন্ত্রের খবর কেন গোয়েন্দারা আগাম জানতে পারল না, হামলার খবর পেয়েও পুলিশ কেন প্রায় সব ক্ষেত্রে দেরিতে পৌঁছল— এই সব প্রশ্ন মানুষের মনে রয়েছে বলে কাদেরকে জানিয়েছেন দোরাইস্বামী।

সাম্প্রতিক হাঙ্গামার পিছনে পাকিস্তানি হাত থাকার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের একাংশ। বাংলাদেশের স্বরা‌ষ্ট্র দফতরের এক কর্তার কথায়, তালিবান জঙ্গিরা কাবুল দখলের পরে ঢাকাতেও সক্রিয়তা বেড়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের। যে ভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে— বিভিন্ন জায়গায় আগেই তাদের জড়ো করে রাখা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামির একাংশ এবং জামাতে ইসলামির মতো কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠনকে ব্যবহার করে আইএসআই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু পুলিশের নিচুস্তরের ভূমিকায় তাঁরাও খানিকটা ধন্ধে। আইএসআই সেখানেও অনুপ্রবেশ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শেখ হাসিনা সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটবুরোও রবিবার বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, মৌলবাদীদের হামলা রোধে পুলিশ-প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। মণ্ডপগুলিতে এ বার পাহারাও ছিল না।

pakistan Bangladesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy