শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন লন্ডনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক মণীশ শাহ। ক্যানসারের ভয় দেখিয়ে তিনি স্তন ও যননাঙ্গ পরীক্ষা করতেন। তার পরেই শুরু হত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ।
লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে মামলার শুনানিতে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক মণীশ শাহ তাঁর চেম্বারে আসার পর রোগীদের প্রথমে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির গল্প শোনাতেন। বলতেন, কী ভাবে স্তন প্রতিস্থাপন করে ক্যানসারের বিপদ কাটিয়ে ফের সুন্দরী হয়ে উঠতে পেরেছেন হলিউড অভিনেত্রী। তার পর জানতে চাইতেন, ক্যানসারের বিপদ দূর করতে তাঁরাও স্তন পরীক্ষা করাতে চান কি না। রোগীরা রাজি হলে স্তন ও জননাঙ্গ পরীক্ষার নামে শুরু হয়ে যেত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ।
ছয় জন মহিলা এই অভিযোগ জানান ওল্ড বেইলি কোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই ২০১৩ সাল থেকে চেম্বারে বসে তাঁর রোগী দেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।